গতকালই আইএমএফ প্রধান জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের অর্থনীতির আরও নীচের দিকে নামবে । যদিও আরবিআই গত সপ্তাহে জানিয়েছিল আগামী বছর জিডিপি হার ৬.১ শতাংশ হবে । কিন্ত আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত অর্থনৈতিক সংস্থা মুডি’জ ইনভেস্টর সার্ভিসের সমীক্ষায় বলা হয়েছে ভারতের জিডিপি আরবিআই আশা পূরণ করবে না । ২০১৯–২০ সালে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশে পৌঁছবে বলে গত সপ্তাহেই আশা প্রকাশ করেছিল আরবিআই। কিন্তু, সেই আশায় জল ঢেলে দিল মুডি’জের রিপোর্ট। ওই সংস্থাটির মতে, আদতে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশে এসে ঠেকতে পারে।
মুডিজ কর্পোরেশন নামে একটি মার্কিন সংস্থার অধীনস্থ মুডি’জ ইনভেস্টর সার্ভিস নামে ওই সংস্থাটি। গোটা বিশ্বের সেরা ক্রেডিট রেটিং সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম মুডি’জ। তাদের সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে ভারতীয় অর্থনীতির গতিহীনতার সম্ভাবনার কথা। কী কারণে কমতে পারে অর্থনীতির গতি? সংস্থাটির তরফে নানা কারণ তুলে ধরা হয়েছে। এ জন্য অন্তর্দেশীয় বেশ কিছু কারণকেই মূলত দায়ী করা হয়েছে। যেমন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গোটা দেশেই মন্দা দেখা দিয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রও অনেকটা কমে গিয়েছে। কৃষি–সহ নানা ক্ষেত্রে শক্তি হারিয়ে রুগ্ন হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিও। আর এ সব কারণেই দেশের জিডিপি–র হার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মত মুডি’জের মতো সংস্থার ।
তবে, ২০২০–২১ সাল নাগাদ ভারতের অর্থনীতি এই ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠে মাঝারি মানে পৌঁছতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করছে মুডি’জ। সংস্থার দাবি, ‘ওই সময় জিডিপি হতে পারে ৬.৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত। আগামী দু’বছরে জিডিপি–র হার ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল। তার পর তা ফের পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। গত দু’বছর আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে ৮ শতাংশ বা তার উপরে জিডিপি যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।’
মুডি’জই প্রথম নয়, গত মাসেই, ভারতের জিডিপি আশাতীত ভাবে কমতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও অর্গানাইজেশন অব ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামের আন্তর্জাতিক সংস্থাও। পরিস্থিতি আঁচ করে আনুমানিক বৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬.৯ শতাংশ থেকে ৬.১ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল আরবিআই–ও।