শুক্রবার দুপুরে ভারতে আসছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংফিং। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি, এবং পাকিস্তানের ক্রমাগত প্ররোচনার মাঝে নরেন্দ্র মোদি- জিংফিংয়ের এই বৈঠক সব অর্থেই গুরুত্বপূর্ণ। কাল, শনিবার সকালে চেন্নাইয়ের মল্লপূরমে তাজ ফিশারম্যান্স কোভ রিসর্টে দুই নেতার শীর্ষ বৈঠক। শীর্ষ বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দুই নেতা ইয়াং জিয়েচি ও ওয়াং ই’র।
প্রশ্ন হচ্ছে ভারত এই আলোচনায় কোন বিষয়ের উপর জোর দেবে। পিএমও সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ভারতের টার্গেট বেজিংয়ের সঙ্গে বানিজ্য ঘাটতি মিটিয়ে তাকে আরও চাঙ্গা করা। এই ঘাটতি এই মুহূর্তে ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। চিনের বাজার ভারতীয় পণ্যের জন্য খুলে দিতে অনুরোধ থাকবে নয়াদিল্লির তরফে। এ প্রশ্নে ভারত সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেবে। সেইসঙ্গে চিন-মার্কিন বানিজ্য যুদ্ধের ছোঁয়া ভারতকে কতখানি ‘আক্রান্ত’ করবে, সেই বিষয়টিও আলোচনায় বুঝে নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রুখতে সাহায্য চাওয়া হবে। এবং অবশ্যই নিয়ন্ত্রণরেখাকে উত্তেজনামুক্ত রাখতে পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। ২৬ বছর আগে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও তা কখনই বাস্তবে রূপায়িত হয়নি।
ভারতে আসার আগেই চিনা প্রেসিডেন্ট বৈঠক করেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে। বৈঠক শেষে জিংফিংয়ের বক্তব্য ভারতকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রেখেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান যেগুলি মূল বিষয় বলে মনে করছে, সে বিষয়ে চিনও একমত। নজর রাখা হচ্ছে কাশ্মীরেও। মোদি এ ব্যাপারে পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে চান, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কারওর নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না। পাকিস্তান এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাজনীতি করতে চাইলে ভারত তা মেনে নেবে না। পাশাপাশি জিংপিংকে বোঝানো হবে, কেন ভারত ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে।