তবে কি ফিকে হচ্ছে টেলিকম সংস্থা? BSNL ও MTNL থেকে স্বেচ্ছাবসর কর্মীদের!
সরকারি টেলিকম সংস্থা BSNL ও MTNL-এ ঋণের বোঝা কমাতে কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু করেছিলেন। চালু করার পর ওই প্রকল্পে প্রত্যাশিত সাড়া মিলেছে বলে দাবি দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার। এর ফলে বার্ষিক ৮,৮০০ কোটি টাকা বাঁচবে।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দেনাগ্রস্ত বিএসএনএল ও এমটিএনএল। দুই সংস্থার মাথায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণ। সংস্থার পুনরুজ্জীবনে কর্মী সংখ্যা অন্তত ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দুটি সংস্থা। মাঝে শোনা গিয়েছিল, বিএসএনএল ও এমটিএনএল-তে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সেই জল্পনা খারিজ করে দেয় কেন্দ্র। সংস্থা দুটিকে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
BSNLও MTNL-দুটি সংস্থা মিলিয়ে মোট ৯২,৭০০ কর্মী স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন। এর মধ্যে স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন বিএসএনএলের ৭৮,৩০০ জন কর্মী। সংস্থার দাবি, অর্ধেকের বেশি কর্মীর ভার লাঘব করা সম্ভব হয়েছে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে। এমটিএনএলের ১৪,৩৭৮ জন কর্মী স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে সায় দিয়েছেন। এর ফলে ৭৬ শতাংশ কর্মী সংকোচন করতে সক্ষম হয়েছে MTNL। স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে নির্ধারিত লক্ষ্য পার করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক শীর্ষ আধিকারিক। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে নথিভূক্ত করানোর সুযোগ পেয়েছিলেন কর্মীরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বিএসএনএলের চেয়ারম্যান পিকে পুরওয়ার বলেন,''সমস্ত সার্কেল থেকে ৭৮,৩০০ কর্মী ভিএরএস প্রকল্পে সাড়া দিয়েছেন। ৮২,০০০ কর্মী সংকোচন চেয়েছিলাম। স্বেচ্ছাবসর ছাড়াও প্রায় ৬০০০ কর্মী অবসর নিয়েছেন। আমাদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে।''
জোর করে স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে বিএসএনএলের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কর্মীরা। তার প্রতিবাদে গত ২৫ নভেম্বর দেশজুড়ে অনশনের ডাক দেন তাঁরা। অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন অব ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের আহ্বায়ক অভিযোগ করেন, কর্মীদের অবসরের বয়স ৫৮ বছরে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ম্যানেজমেন্ট। স্বেচ্ছাবসর না নিলে দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে।