ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারে ধস
ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম পড়ে গেল ৮৫ %। ঐ ব্যাঙ্কের এটিএম ও নেট ব্যাংকিং ব্যাবস্থাও বেহাল অবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই আমানতকারিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন বলেছেন ‘‘আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তাঁদের যাবতীয় আমানত সুরক্ষিত থাকবে।’’ একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রমনিয়ন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও।
‘‘আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তাঁদের যাবতীয় আমানত সুরক্ষিত থাকবে।’’ একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রমনিয়ন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও।
রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন ‘‘নো ইয়েস ব্যাঙ্ক (ইয়েস ব্যাঙ্কের ভবিষ্যৎ অন্ধকার)। প্রধানমন্ত্রী মোদী আর তাঁর চিন্তাভাবনাগুলিই ভারতের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’’
পি চিদম্বরম লিখেছেন ‘‘ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সার্বিক ব্যর্থতাই এর জন্য দায়ী। ৬ বছর ক্ষমতাসীন বিজেপি যে এ ব্যাপারে ব্যর্থ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এটাই শেষ নাকি এমন ঘটনা আরও ঘটতে চলেছে? যদিও সরকার মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। আমানতকারীরা কী করেন, জানার অপেক্ষায় থাকলাম। তাঁরা নিশ্চয়ই পিএমসি ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের মতোই গভীর উদ্বেগে রয়েছেন।’’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইয়েস ব্যাঙ্কের পুনরুজ্জীবন ঘটানো। যে যে ভাবে তা করা সম্ভব, সেই সবক’টি উপায়েই ইয়েস ব্যাঙ্ককে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।’’
এক নির্দেশিকা জারি করে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা সাময়িক বেঁধেছে আরবিআই। জানিয়েছে, ৩ এপ্রিলের মধ্যে আমানতকারীরা ৫০,০০০ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। ড্রাফট বা পে-অর্ডারের ক্ষেত্রে অবশ্য এই ঊর্ধ্বসীমা কার্যকর হবে না। টাকা তোলা যাবে অসুস্থতা, পড়াশোনা বা বিয়ের জন্য। দেওয়া যাবে ২০,০০০ কর্মীর বেতনও। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কোনও ঋণ দিতে পারবে না ব্যাঙ্কটি। ইয়েস ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএফও প্রশান্ত কুমারকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ব্যাঙ্কটির সম্পদের পুনর্গঠন করে আমানতকারীদের আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।