নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো হয়েছে প্রমানিত হলে পাঁচ বছরের জেল ও লাখ টাকা জরিমানা হবে হুঁশিয়ারি পর্ষদ ও পুলিশের , নজরদারিতে এবার থাকবে ড্রোন

Paramanik Akash
নিষিদ্ধ শব্দবাজি কালিপুজো ও দেওয়ালিতে ফাটানো হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এক লাখ টাকা জরিমানা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । রবিবার কলকাতার প্রায় ১৫০ বড় আবাসনের প্রতিনিধিদের এই ভাষাতেই সর্তক করল পর্ষদ এবং পুলিশ ।
এক পুলিশকর্তা বলেন,  ‘‘প্রতি বছর যে অভিযোগ তাঁরা পান নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর, তার একটা বড় অংশই এ ধরনের আবাসনের বিরুদ্ধে।’’
রবিবার কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু বড় আবাসনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকা হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা, ব্যারাকপুর, হাওড়া এবং বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রতিনিধিরাও।
এ দিনের বৈঠকে পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার স্পষ্ট ভাষায় পুলিশ এবং আবাসনের প্রতিনিধিদের জানান,  এ বছর থেকে পর্ষদ এনভারনমেন্ট প্রোটেকশন অ্যাক্ট(১৯৮৬)-র ১৫ নম্বর ধারা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করবে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে।
ওই আইনে অপরাধ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সংস্থান রয়েছে, সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘ বিভিন্ন আবাসনে কালীপুজো বা দিওয়ালির সময় নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোর অভিযোগ এলেও, পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আবাসনের গেট তালাবন্ধ রাখা হয়। পুলিশ পৌঁছলে, অযথা টালবাহনা করে নিষিদ্ধ বাজি সরিয়ে ফেলার সময় করে দেয় নিরাপত্তা রক্ষীরা। কারণ তাদের উপর এমনটাই নির্দেশ থাকে।’’  আরও একটি সমস্যার কথা এ দিন উল্লেখ করেন পুলিশকর্তারা। আবাসন বা বহুতলের ছাদে বাজি পোড়ানো।
পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার এই সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করতে পুলিশ কমিশনারেটের প্রতিনিধিদের কালীপুজো এবং দিওয়ালির রাতে ড্রোন ওড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ড্রোন ওড়ালে আবাসনের ছাদেও নিষিদ্ধ বাজি ফাটালে তার ছবি পাওয়া যাবে। সেই ছবি দেখে একদিকে যেমন বাজি ফাটানো বন্ধ করা যাবে তেমনই ভবিষ্যতে মামলা হলে প্রমাণ হিসাবেও ওই ফুটেজ ব্যবহার করা যাবে।
পর্ষদের পক্ষে রাজেশ কুমার বলেন,  এনভারমেন্ট প্রোটেকশন অ্যাক্ট নতুন নয়। কিন্তু আগে এ রাজ্যে সে ভাবে প্রয়োগ করা হত না। এ বার ওই আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আইনে পুলিশ মামলা করতে পারে না। একমাত্র পর্ষদ করতে পারে। তাই পুলিশকে বলা হচ্ছে নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোর ঘটনা ঘটলে তার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে পর্ষদকে জানাতে। পর্ষদ মামলা করবে।


Find Out More:

Related Articles: