অযোধ্যা মামলার রায়দান করল মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার রায় দান করেছে। অযোধ্যা মামলা ভারতীয় সমাজ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা।
ভারতের সমাজ জীবনের ওপর এর প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সমস্ত পক্ষের মতামতকেই গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেছে আদালত। সব পক্ষকে শোনার পর এবং প্রমাণ খতিয়ে দেখে এই জমি রাম লালার বলে রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে মুসলিমদের অন্যত্র জমি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সময় থেকেই বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি নিয়ে লড়াই চলেছে। অবশেষে আইনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইংরেজ আমলে এই বিবাদ শুরু হয়। সেই সময় ঔপনিবেশিক শক্তি ইংরেজরা দুই পক্ষকেই ওই জায়গার ভাগাভাগি করে দিয়েছিল। তারপরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফের আদালতে এই মামলা চলতে থাকে। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার জমি নিয়ে রায় দেয়। তাতে তিনটি পক্ষ সুন্নিয়ত বোর্ড ও রাম লল্লা ও নির্মোহী আখড়াকে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
তবে এর পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে। অনেকগুলি আবেদনকে একসঙ্গে করে মামলার শুনানিতে বসে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০১৯ সালে টানা ৪০ দিন ম্যারাথন শুনানির পর ১৬ অক্টোবর রায়দান স্থগিত রাখে শীর্ষ আদালত।
মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর অবসরের আগেই এই রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই মতো ৮ নভেম্বর জানিয়ে দেওয়া হয় শনিবার ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার রায়দান হবে। তারপরেই এই ঐতিহাসিক রায় সামনে এল।