পাকিস্থানে সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি খুনের ঘটনায় নিন্দা ভারতের ; ‘গুরুদ্বারে হামলার মত ঘটনার বিরুদ্ধে আমার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। কিন্তু ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছেই।’ পাল্টা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান
আজ রবিবারই পেশোয়ারে এক শিখ যুবক খুন হন। সেই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।সম্প্রতি পাকিস্তানের নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে ইটবৃষ্টি করে একদল মুসলিম যুবক। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তথা শিখদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায় ভারত সরকার। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে চাপের মুখে পাকিস্তান।
ভারতের এই নিন্দার উত্তর দিতে গিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পরপর বেশ কয়েকটি ট্যুইট করে ভারতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আরএসএস-এর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার তীব্র নিন্দাও করেছেন ইমরান। এদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নানকানা সাহিবে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘নানকানা সাহিবের হামলা ও ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। গুরুদ্বারে হামলার মত ঘটনার বিরুদ্ধে আমার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। কিন্তু ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছেই।’ এদিন আরও মারাত্মক অভিযোগ করেন ইমরান।
তাঁর কথায়, ‘মোদী সরকার ও আরএসএস সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারে মদত দিচ্ছে। এটা ওদের নীতি। আরএসএসের গুন্ডারা প্রকাশ্যেই সংখ্যালঘুদের গণপিটুনি দিচ্ছে। আর এই সব ঘটনায় মোদি সরকার শুধু সমর্থনই করছে না, বরং তাঁর সরকারের পুলিশ এ ধরনের ঘটনায় মদত দিচ্ছে।’ এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে ভারতের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।