তপতী গোস্বামীর অনন্য সৃষ্টি ‘সামার টু সামার’

Akash Paramanik

এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে কবিকুলে এক পরিচিত নাম তপতী গোস্বামী। যার কবিতা ইতিমধ্যে কাব্যমোদীদের মন জয় করেছে। দীর্ঘ চার দশক ধরে তিনি অনর্গল লিখে চলেছেন কবিতা। পরিনামে প্রকাশ পেয়েছে দুখানি কাব্যগ্রন্থ, ‘স্বাতীর প্রেম’ এবং ‘স্বাতী নক্ষত্রের আলোয় ফিরে এসো’। আমি নিজেও বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিভিন্ন কবিতা পড়েছি, উপভোগ করেছি নির্যাস। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর প্রথম ইঙ্গরেজি কবিতা সঙ্কলন ‘সামার টু সামার’
(Summer To Summer) হাতে পেয়েই অবাক। সঙ্কলনের প্রচ্ছদে চোখ বুলিয়ে মনে মনে ভাবি তপতী গোস্বামী দেখি সব্যসাচী, কবিতা লেখায় দুই ভাষাতেই পারঙ্গম ! মোট ৪৪ টি কবিতায় সংকলিত ইংরেজি ভাষায় লেখা এই কাব্য গ্রন্থটি বিশেষ অনন্যতার দাবিদার। গ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘দ্য টাচ’ এর মধ্যে দিয়ে কবি বলতে চেয়েছেন একটা নরম স্পর্শ কিভাবে জীবনকে তাড়িত করে। পরিপূর্ণ করে জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে । ‘দ্য মিরর অব লাইফ’ কবিতায় কবি বলেছেন কবিতাই জীবনের আয়না। ‘পোয়েট্রি ইজ দ্য মিরর অব লাইফ’- এই লাইনটির ভেতর দিয়েই কবি কবিতাটির দিগদর্শন করিয়েছেন। সঙ্কলনটিকে সমৃদ্ধ করেছে ‘লাভ অ্যান্ড টিয়ার্স’, হোয়েন মাই হার্ট’, ‘দ্য অ্যাঙ্কসাস লাভার’, ‘দ্য ফিলিঙ্গ’, ‘দ্য ট্রু হার্ট’ এবং ‘দ্য লাভ’ কবিতাগুলি। বিশেষ করে দ্য লাভ কবিতার প্রথম প্যারায় কবি – ‘ লাভ ইজ গড, লাভ ইজ পিস অব সউল, লাভ ইজ দ্য স্যাক্রিফাইস, লাভ ইজ মল’ এই লাইনগুলির ভেতর দিয়ে প্রেমের শ্বাশত সত্যের মাহাত্ম প্রকাশ করেছেন।
কবি তপতীর এই ‘সামার টু সামার’ ইংরেজি কাব্যগ্রন্থটি অচিরেই ইংরেজি কাব্য রসিকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু কবি নিজের গ্রন্থটির নাম করণের সাথে সাথে লিখেছেন ‘দ্য এভার এনচান্টিঙ্গ রোমান্টিক পোয়েমস’।
গ্রন্থটির মুখবন্ধে প্রফেসর রাখাল চন্দ্র দে লিখেছেন গ্রন্থের প্রতিটি কবিতা অত্যন্ত শক্তিশালী, শৈল্পিক ভাবনায় উদ্বুদ্ধ।
দে পাবলিকেন্স, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রিট, কলকাতা -৭৩ থেকে প্রকাশিত সঙগ্রহযোগ্য গ্রন্থটির ব্যাপক সাফল্য কামনা করি।

Find Out More:

Related Articles: