বিজেপি শাসিত গুজরাটেও শিশু মৃত্যু অব্যাহত সরকারি হাসপাতলে এক মাসে ১৭৯ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক সমগ্র দেশ
কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে কোটায় একের পর এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি দল কংগ্রেসকে টার্গেট করেছিল । এবার বিজেপি শাসিত গুজরাট রাজ্য থেকেও সদ্যজাত শিশু মৃত্যুর ঘটনা সামনে এলো । গুজরাটের রাজকোট এবং জামনগর মিলিয়ে দুটি সরকারি হাসপাতালে সদ্যোজাতের মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৯ তে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে এত সংখ্যক সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলেও।
সূত্রের খবর, তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে রাজকোটে ১১১ জন সদ্যোজাত, জামনগরে গত ডিসেম্বর মাসে মারা গিয়েছে ৬৮ জন সদ্যোজাত এবং নভেম্বর মাসে মারা গিয়েছে ৭১ জন শিশু। যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের কাছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে, রাজকোট সিভিল হাসপাতালের সুপারিটেনডেন্ট মনিষ মেহতা জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রাজকোটের হাসপাতালে মোট ১১১ জন শিশু মারা গিয়েছে। তিনি আরও জানান, মৃত শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগ মারা গিয়েছে ওজন কম থাকার কারণে। এছাড়াও অনেকেই ইনফেকশন এবং সর্দিকাশি ঠাণ্ডা লাগার কারণে মারা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র জামনগরে গত এক বছরে বিভিন্ন কারণে ৬৩৯ জন সদ্যোজাত শিশু মারা গিয়েছে। আরও ভয়ানক পরিসংখ্যান দিচ্ছে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল। গত ডিসেম্বরে শুধু এই হাসপাতালে ভরতি ৮৫ জন শিশু মারা গিয়েছে। এই হাসপাতালের সুপারিটেনডেন্ট গুনবন্ত ঠাকর জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই হাসপাতালে প্রতিমাসে ৭০ থেকে ৮০ জন জন সদ্যোজাত মারা গিয়েছে। এবং এত সংখ্যক শিশু মৃত্যুর পিছনে অপুষ্টিও অন্যতম কারণ হিসাবে ধরা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুধু মাত্র অপুষ্টি বা সর্দিকাশি নয়, এত সংখ্যক সদ্যোজাতের মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণও দেখা গিয়েছে। সেই কারণটি হল, প্রতিদিন যত সংখ্যক শিশু জন্মগ্রহন করছে তাঁদের দেখভাল এবং পরিচর্যার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক বা নার্স এই সমস্ত হাসপাতাল গুলিতে নেই ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর হার।