বাঙালি উদ্বাস্তুদের জন্য মমতার বড় ঘোষণা ! কী ঘোষণা করলেন
সব উদ্বাস্তুদের জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার । সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার তিনি ঘোষণা করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারি জমিতে বা বেসরকারি যে জমিতে উদ্বাস্তুরা রয়েছে, সেখানে তিন একর পর্যন্ত জমির মালিকানা দেওয়া হবে। এদিন নবান্নে একটি এক বৈঠকে একথা বলেছেন মমতা। পাশাপাশি বুলবুল ঝড়ে বিধ্বস্তদের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এদিন। সেখানে বিপর্যস্ত এলাকার বাস্তুহারাদের সরকার জমি দেবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
সোমবার নবান্নে মমতা বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছিল সব উদ্বাস্তুদের জমির মালিকানা দেওয়া হবে। কারণ অনেক সময় পার হয়ে গিয়েছে। সেই ১৯৭১ থেকে বাড়ি আর জমির মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে তারা। উদ্বাস্তুদেরও অধিকার রয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এর আগে রাজ্য সরকারি ৯৪ টি রিজিউজি কলোনিতে জমির সত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি ও বেসরকারি জমিতে উদ্বাস্তু কলোনি রয়ে গিয়েছে। সেগুলিতেই মালিকানা দেওয়ার কথা বললেন মমতা।
কয়েকদিন আগেও কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও স্পষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রকে।
সম্প্রতি, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এনআরসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, সারা দেশে এনআরসি হবে। বলেন, “দেশজুড়ে এনআরসি হবে। এখানে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদের কোনও জায়গা নেই। সকল নাগরিকের নামই ওই তালিকায় থাকবে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে, নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এদের গুলিয়ে ফেললে হবে না।”
তার পরেই মুর্শিদাবাদে এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তিনি বলেন, “কিছু লোক বদমায়েশি করে এনআরসির নাম করে নানা ভাবে উত্যক্ত করছে আপনাদের। একটা কথা মনে রাখবেন, বাইরের আমদানি করা কোনও নেতার কথা বিশ্বাস করবেন না। সে হিন্দুই হোক, মুসলমানই হোক। বিশ্বাস করবেন আমরা যারা মাটিতে থেকে লড়াই করি, তারা আপনাদের পাশে আছি। বাংলায় এনআরসি হবে না। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। আপনারা প্রত্যেকে এ দেশের নাগরিক। একটা লোককেও এখান থেকে বিতাড়িত করতে দেব না।”