পাহাড়ের কোলে রয়েছে ঝেপি
একদিকে দার্জিলিং জেলা অন্যদিকে সিকিমের জোড়থাং এই দুয়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পাহাড়ের কোলে নিরিবিলিতে লুকিয়ে থাকা সবুজে মোড়ানো ছোট্ট, স্বল্পপরিচিত একটি গ্রাম ঝেপি। নামটা অতটা মিষ্টি না হলেও রূপে গুণে একেবারে অপরূপ এই পাহাড়ি কন্যা। প্রকৃতি যেন উজাড় করে দিয়েছে এখানে। একেবারে নির্জন নিরিবিলিতে যদি আপনি দিন দুয়েক কাটাতে চান তবে ঝেপি হবে একেবারে আদর্শ জায়গা।
দার্জিলিং থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই ঝেপি। তবে, এই ঝেপিকে পাহাড়ি গ্রাম বললে একটি ভুল হবে। ঝেপি হল পাহাড়ের কোলে একটা ফার্ম হাউস। ঝেপির ফার্ম হাউসের নাম চেতনা। এই ফার্ম হাউসের ভিতরে ঢুকে পড়লে আর মনে পড়বে না ক্রংকিটের শহরের কথা। সেখানে মিলবে পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের জীবনযাত্রাকে কাছ থেকে উপলব্ধি করার সুযোগ। তখন শুধু কানে আসবে ফার্ম হাউসের পাশ দিয়ে বয়ে চলা রঙ্গিতের শব্দ। এখানে রঙ্গিত খরস্রোতা নয়। কিন্তু পাথরের উপর দিয়ে খরস্রোতা শব্দে বয়ে চলেছে সে। ইচ্ছা হলে এই রঙ্গিতে মাছ ধরতে পারেন, স্নান করতে পারেন। রঙ্গিতের শব্দের পাশাপাশি শুনতে পাবেন পাখিদের কলরবও।
কখন যাবেন ? এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এখানে বেশ ভালো লাগবে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্তও অনেকে ঝেপি বেড়াতে যান। তবে বর্ষাকালে ঝেপি যেন অন্যরকম সুন্দরী। হোমস্টের বারান্দা থেকে আপনি তাকিয়ে দেখুন চারপাশটা। রিমঝিম বৃষ্টি। তার মাঝে চারদিকে সবুজে সবুজে। দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগান। এখান থেকে কাছেই রয়েছে একটি প্রাচীন মন্দির। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট মন্দির। চারপাশে কেউ কোথাও নেই। নির্জন পাহাড়ি মন্দির। ঝেপি থেকে মিনিট দশেকের ট্রেকিং করে চলে যেতে পারেন সেই মন্দিরে। শিব, গণেশ, হনুমানজীর বিগ্রহ এই নির্জন জায়গায় যেন অন্যরকম।
কীভাবে যাবেন? দার্জিলিং থেকে যদি ঝেপি যান, তাহলে খুব বেশি হলে আপনার দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে, গাড়িতে ভাড়া নিয়ে নিতে পারে প্রায় ৫০০০টাকা। অন্যদিকে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঝেপির দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার। যেতে সময়ও লাগবে প্রায় ৫ ঘণ্টা।