গেরুয়া শিবিরে বলিউড

frame গেরুয়া শিবিরে বলিউড

Biswas Riya

ক্ষমতা কে না ভালবাসে।কেও চান ক্ষমতাকে সরাসরি হাতে পেতে, আবার কেও বা চান সেই ক্ষমতার আঁচে একটু দুর থেকে পিঠ সেঁকে নিতে।রাজনীতির সঙ্গে বিনোদন জগতের সহাবস্থান এর আগেও দেখা গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বলিউডের মধ্যে একটা ঢেউ ওঠে।সেই স্রোতে গা ভাসান অনেকেই।মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে সেই স্রোতে যোগ দেন আরও অনেকেই।ফলে ক্ষমতার বৃত্তে ঢুকে পড়েন অনেকেই।বলিউডেও লাগে গেরুয়া রং।

ক্ষমতায় আসার পর সেলিব্রিটি তাস প্রথম খেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।অক্ষয়কুমারের ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’, ‘প্যাডম্যান’, ‘মিশন মঙ্গল’ প্রতিটি ছবিই যেন বিজেপি সরকারের গৌরবগাথা তুলে ধরে! ‘কেশরী’তে হিন্দুত্ববাদের ছাপ স্পষ্ট।

রাজনীতির রং ব্যাক্তি ছাড়িয়ে সিনেমাতেও স্পষ্ট।তৈরি হচ্ছে ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’, ‘উরি’, ‘মিশন মঙ্গল’-এর মতো ছবি। এই ছবিগুলি বিষয়-ভাবনায় অবশ্যই স্বতন্ত্র। কিন্তু প্রতিটি ছবিতেই যদি জোর করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশস্তি গুঁজে দেওয়া হয়, তাহলে ছবি তৈরির আসল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। যেমন সন্দেহ হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে নিয়ে তৈরি ‘দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ ছবিটি ঘিরে। ‘নিউটন’, ‘আর্টিকল ফিফটিন’-এর মতো কিছু সাহসী ছবি হলেও, তা সংখ্যায় হাতেগোনা। 

সলমন খান ,আমির খানরা পর্যন্ত এর ব্যাতিক্রম নন।লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা টুইট পর্যন্ত করেন।শাহরুখ বরাবর কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত, যদিও বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক সহজ।তবুও শোনা যায় সরকারের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে নাকি ছবি তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে অনেককে। কিন্তু সেই সব ছবির প্রস্তাব শাহরুখ খানের কাছে যাচ্ছে না।

অবশ্য ব্যাতিক্রম সব ক্ষেত্রেই আছে। অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরা গোহত্যা এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিকে কেন্দ্র করে হয়ে চলা হিংসার বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলে, তার পাল্টা উত্তর দেন কঙ্গনা রানাউত, প্রসূন জোশিরা।অনুরাগ কাশ্যপ, নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজ়মিরা নিজেদের বিরোধিতা চেপে রাখেননি হাজার সমস্যা স্বত্বেও।

 

 

 


Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More