গার্হস্থ্য হিংসার শিকার টেলিভিশন অভিনেত্রী ও তার মেয়ে

Biswas Riya

গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েই ২০০৭ সালে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি।দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ করলেন পুলিশের কাছে।

মদ্যপ অবস্থায় শ্বেতাকে মারধর করা ছাড়া শ্বেতার মেয়ে পালককে অশালীন ছবি দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে অভিনবের বিরুদ্ধে। পালককেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে শ্বেতার স্বামীর বিরুদ্ধে। যার জেরে মুম্বইয়ের সামতা নগর পুলিশ অভিনবকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর।

২০১৩ সালে অল্প কয়েক দিনের আলাপের পরেই অভিনবকে বিয়ে করেন শ্বেতা। তাঁদের দু’বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। 

অত্যাচার শুধুমাত্র শ্বেতার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সৎ বাবা মেয়েকে অশ্লীল ছবি দেখাতেন।অশালীন ইঙ্গিতও করতেন ১৯ বছরের মেয়েকে দেখে। মত্ত হয়ে মেয়েকে মারধর করতেন ।

এতদিন পর্যন্ত চুপ করে থাকলেও এবার মা এর সাথে মুখ খুলেছেন মেয়ে পালক।তিনি টুইট করে লেখেন ‘আমার কিছু জিনিস স্পষ্ট করে বলার রয়েছে।আমি পলক তিওয়ারি।একাধিক বার গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছি।’ এ ভাবে শুরু করে পলক সরাসরি তাঁর সৎ বাবার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন। তিনি লিখছেন, ‘আমাকে মারা হলেও এর আগে আমার মাকে কখনই মারধর করেনি অভিনব কোহালি। যে দিন মা এফআইআর করে, সে দিনই মাকে মারধর করা হয়। এই প্রথম।’ এর পরেই পলক তাঁর মা শ্বেতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে লিখেছেন, ‘আপনাদের কোনও ধারণা নেই, দু’টি বিয়েতেই আমার মাকে কী পরিমাণ অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। তাই খুব অল্প জেনে তা নিয়ে মন্তব্য বা আলোচনা করার কোনও অধিকার আপনাদের নেই।’পলকের আরও বক্তব্য,‘সময় হয়েছে মায়ের পাশে দাঁড়ানোর। ওঁর মতো মনের জোর আমি আর কারও মধ্যে দেখিনি। নিজের চোখে মায়ের সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্ত দেখেছি আমি।’

শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আমাকে শারীরিক ভাবে কখনওই নির্যাতন করেননি অভিনব।তবে তিনি ধারাবাহিক ভাবে আমার প্রতি অশ্লীল মন্তব্য করতেন যা বাবা হিসেবে একেবারেই অশোভনীয়।’

 

 


Find Out More:

Related Articles: