শুভশ্রীর নয়নমনি রাজ
বিয়ের পর প্রথম ছবি শুভশ্রীর কাছে কতটা স্পেশাল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ‘এই প্রশ্নটাতেই আমার আপত্তি। ছেলেদের কিন্তু সচরাচর এই প্রশ্ন করা হয় না। তবে আমার কেরিয়ারে ‘পরিণীতা’ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পেশ্যাল’।কারণ ‘আমি এই ধরনের সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। দর্শকের কাছে প্রমাণ করার ছিল যে, আমি অভিনয় ভালবাসি ও সেটা করতেও পারি। মেহুলের চরিত্রে এত ধরনের পারফরম্যান্সের সুযোগ পেয়েছি যে, অনেক কিছু শিখেছি’।
মেহুল চরিত্রটি নিয়ে তিনি খুব উৎসাহী। তাঁর কথায় ‘প্রথম বার আবিষ্কার করলাম, চরিত্রের মধ্যে কী ভাবে সারাক্ষণ ডুবে ছিলাম। আমার বডি ল্যাঙ্গোয়েজ বদলে গিয়েছিল। পরে যখন ভেবেছি, তখন মনে হয়েছে, ওই ক’টা দিন আমি শুভশ্রী ছিলাম না। চরিত্রকে কী ভাবে জীবন্ত করতে হয়, সেটা মেহুল আমাকে শিখিয়েছে’।
তাঁর মতে ‘যখন যা ট্রেন্ড, সেটা ফলো না করলে মানুষ পিছিয়ে পড়বে। সব ইন্ডাস্ট্রিতে ছবির জঁর বদলাচ্ছে। কনটেন্টধর্মী ছবি আমার পছন্দের। আবার ‘জুড়ুয়া টু’, ‘কেজিএফ’ দেখেও খুব ভাল লেগেছে। আমার আগের ছবিগুলি মূলত আমজনতার ভাল লেগেছে। তবে এ বার দেখলাম, সব স্তরের মানুষের ‘পরিণীতা’ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে’।
রাজের সাথে কাজ করা নিয়ে তিনি বলেন ‘রাজের কাছ থেকেই পরপর দু’টি ছবির অফার পেয়েছি। তবে আমরা খুবই প্রফেশনাল। কাউকে এই ধারণা দিতে চাই না যে, আমি রাজ ছাড়া কাজ করব না বা রাজ আমাকে ছাড়া কাজ করবে না’।
রাজকে চোখে চোখে রাখা নিয়ে তিনি বলেন রাজ তাঁর সামনে থাকলে তিনি পোশইটিভ এনার্জি পান, এটা কোন ইন্সিকিওরিটি ফিলিংস এর জন্য নয়।
নতুন দুই সাংসদের প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ। তিনি জানান ‘রাজের কাছ থেকেই পরপর দু’টি ছবির অফার পেয়েছি। তবে আমরা খুবই প্রফেশনাল। কাউকে এই ধারণা দিতে চাই না যে, আমি রাজ ছাড়া কাজ করব না বা রাজ আমাকে ছাড়া কাজ করবে না’।তিনি আরও বলেন তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব না থাকলেও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।