বাগদানের পরেও কেন ভেঙ্গে গিয়েছিল অভিষেক করিস্মার সম্পর্ক ?
২০০২ এর ১১ ই অক্টোবর বিগ বি র জন্মদিনের দিন সবাইকে চমকে দিয়ে সেই মঞ্চেই বিগ বি স্বয়ং ঘোষণা করেন ছেলে অভিষেকের সাথে করিস্মা কাপুরের সম্পর্কের কথা। সেখানেই বাগদান পর্বও সাড়া হয়।
এ দিকে উপস্থিত মিডিয়া, ইন্ডাস্ট্রির বাকি সেলেবরা তো তখন আকাশ থেকে পড়ছে। কোনওদিন কখনও তাঁদের নিয়ে একফোঁটাও গুঞ্জন শোনা যায়নি। অথচ করিশ্মা-অভি এনগেজমেন্ট সেরে নিলেন!
খবরটা চাউর হতে বেশি সময় নিল না। অনুরাগীদের যেন আর তর সয় না। সে সময় করিশ্মা ইন্ডাস্ট্রির চোখের মণি। কেরিয়ারের পিকে রয়েছেন। ‘বিবি নম্বর ১’, ‘রাজা হিন্দুস্থানি’, ‘ফিজা’ একের পর এক হিট দিয়েই যাচ্ছেন।
কিন্তু আরও একবার সবাইকে চমকে দিয়ে ঘোষণার মাত্র চার মাসেই ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক। ভেঙে যায় বাগদানও। কিন্তু কেন ভেঙে গিয়েছিল করিশ্মা-অভিষেকের প্রেম?
সঠিক কারণ আজও রহস্য। যদিও কেউ বলেন, ববিতা অর্থাৎ করিশ্মার মা’-ই নাকি এর জন্য দায়ী। তিনিই নাকি চাননি সম্পর্ক পরিণতি পাক।
ববিতার বক্তব্য ছিল সে সময় সবে কেরিয়ার শুরু করেছেন অভিষেক। অন্যদিকে করিশ্মা তখন বেশ প্রতিষ্ঠিত। একজন কম প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিতে নাকি একেবারেই নারাজ ছিলেন অভিনেত্রী।
আর এক সূত্র বলছে, সে সময় বচ্চন পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না। তাই সিঙ্গল মা ববিতাও অভিষেকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে একেবারেই সাহস পাচ্ছিলেন না।
এদিকে অনুরাগীদের তখন মন খারাপ। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৩-এ দিল্লির নামকরা ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূরের সঙ্গে বিয়ে হয় করিস্মার। মা-ই পছন্দ করেছিলেন ছেলে। কিন্তু সেই বিয়েও টেঁকেনি করিশ্মার।
২০১১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন করিশ্মা। অবশেষে ২০১৬তে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
খবর এসেছিল করিশ্মার সঙ্গে থাকাকালীনই নাকি অন্য মহিলাদের প্রতি আসক্ত ছিলেন সঞ্জয়। চলত মারধোর, গালিগালাজও। বাধ্য হয়েই দুই সন্তান নিয়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল তাঁকে।
অন্যদিকে ঐশ্বর্যার সঙ্গেও ২০০৭-এ বিয়ে হয় অভিষেকের। ১৩ বছর একসঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। দু’জনের মধ্যেকার সম্পর্কও বেশ মজবুত। মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে দিব্যি আছেন তাঁরা।
ববিতার বারণ, নাকি রয়েছে অন্য কারণ? করিশ্মা এবং অভিষেকের বিচ্ছেদের কারণ আজও রহস্যই রয়ে গেছে।