দিল বেচারায় যেন নিজের গল্পই বললেন সুশান্ত সিং রাজপুত!
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বান্দ্রার বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাড়ির পরিচারক থানায় ফোন করে খবর দেন। তার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেখানে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। 'কিজি আর ম্যানি'র গল্প মিষ্টি, আবেগঘন একটা স্বল্প সময়ের প্রেমের গল্প। তবে এই স্বল্প সময়ে কীভাবে দাপিয়ে বেড়ানো যায়, জীবনকে উপভোগ করে বেঁচে নেওয়া যায়, যেতে যেতে তা আরও একবার শিখিয়ে গেলেন সুশান্ত। সত্যিই তো ''জন্ম কবে, মৃত্যু কবে, তা আমরা ঠিক করতে পারি না, তবে কীভাবে বাঁচবে সেটা আমরা ঠিক করতে পারি''। 'দিল বেচারা'র গল্প এমন একটা গল্প যেখানে কিজি ও ম্যানি জানে যে, মৃত্যু তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কড়া নাড়ছে। তবু সেই কড়া নাড়ার শব্দকে এড়িয়ে জীবনে কীভাবে বেঁচে নিতে হয়, তা শিখিয়ে গেলেন ম্যানি। ছবির শেষের দিকে চিঠিতে ম্যানির লেখা '' ইয়ে রাজা তো মর গ্যায়া, পর মেরি রানি আভি জিন্দা হ্যায়, আর তবতক মেরি কাহানি ভি জিন্দা হ্যায়''।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি পটনায় জন্মগ্রহণ করেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। পরবর্তীকালে দিল্লিতে চলে আসে তাঁর পরিবার। দিল্লি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ভর্তি হন। কিন্তু সেইসময় থেকেই থিয়েটারের দিকে ঝোঁকেন তিনি। নাচও শেখেন। তার জন্য পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। শেষবার 'ছিঁচোরে' ছবিতে দেখা গিয়েছিল সুশান্তকে। এছাড়াও 'কেদরনাথ', 'এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি', 'ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী', 'পিকে', 'কাই পো চে' সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সুশান্ত। টেলিভিশনে 'পবিত্র রিস্তা' ধারাবাহিক দিয়ে কেরিয়ারে প্রথম সাফল্যের মুখ দেখেন সুশান্ত।