তবে অতিমারিকালে মানুষের সাহায্য করতে সত্যিই পথে নামলেন জ্যাকলিন। সেই ছবি ভেসে উঠল অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে অতিমারির সময় ১ লক্ষ মানুষের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন অভিনেত্রী। এ ছাড়াও মুম্বই পুলিশকে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের মতো পণ্যের জোগান দেবেন তিনি। এই অতিমারি সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের একটি সংস্থা তৈরি করেছেন জ্যাকলিন। নাম রেখেছেন ‘ইয়োলো’ (ইউ অনলি লিভ ওয়ানস)। সেই সংস্থার পক্ষ থেকেই সমাজসেবামূলক কাজ করতে এগিয়ে এসেছেন স্বয়ং অভিনেত্রী। জ্যাকলিনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটাগরিকরাও।
অন্যদিকে, নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিয়ের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন-' হাজার হাজার মানুষ করোনা নামক এক অদৃশ্য অভিশাপের কাছে প্রতিদিন বিলীন হয়ে যাচ্ছেন,আপনজনের হারিয়ে যাওয়ার আর্তনাদে বিভীষিকার চেহারা নিয়েছে গোটা ভারতবর্ষ.. সেখানে এই ছবি দেওয়াটা আমার আঁতলামি ছাড়া আপনাদের কাছে আর কি বা মনে হতে পারে..আমি জানি এবং বুঝিও..জানেন,আমি কিন্তু এখন একা নই,আমার সাথে আছে ৪ফুট ৪ইঞ্চির একটা মানুষ,যার ঘ্রানশক্তি,স্বাদ আস্বাদন ক্ষমতা আজকের দিন পর্যন্ত আছে.যে,বিগত দু বছর ধরে আমার সাথে সংসার নামক এক অজানা এবং তার অনভিজ্ঞ জায়গায় বন বন করে ঘুরে চলেছে..যে,মুখ ফুটে খুব একটা নিজের কথা বলে না বা বলতে জানে না..যে,গরম খুন্তি নাড়তে নাড়তে হাতের তালুতে ঝোলের স্বাদ নিজের অজান্তেই নিতে শিখে গেছে,
যে,কলিং বেলের শব্দ শুনে, বাইরে কে সহজেই আজ অনুধাবন করতে পারে, যে,দুবছরের মধ্যেই নিজের সবটুকু উজাড় করে সংসার আগলাতে শিখে ফেলেছে দুনিয়ার আর বাকি সংসারীদের মতোই..
কিন্তু জানেন,সবটাই নিজের অজান্তেই..বিয়ের প্রথম বছর এবং দ্বিতীয় বছরও মহামারীর কারণে,মেয়েটা বুজতেই পারলো না কাকে বলে।আজ শুধু তার কথা ভেবে, ওর মুখের একটু হাসির জন্যে এই সংকটের সময়ে আমার এই ছবি দেওয়াটা কি খুব ভুলের??একটাই, গিফট চাই তোমার থেকে,তোমার বুকের ধুকপুকুনিটা,আমার মুখাগ্নির আগ পর্যন্ত যেন আমার কানে শুনতে পাই।'