কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবরটি ইনস্টাগ্রামেই প্রকাশ করলেন কঙ্গনা। তাঁর বক্তব্য, ‘এই রোগ সাধারণ সর্দি-জ্বর ছাড়া আর কিছুই নয়। সংবাদমাধ্যম একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছে। যার ফলে কিছু মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন’। হালকা জ্বর হয়েছিল অভিনেত্রীর। দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে চোখ জ্বালা করছিল কঙ্গনার। হিমাচলে নিজের বাড়ি যাওয়ার আগে পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তাতেই শরীরে করোনা ধরা পড়ে। নিভৃতবাসে রয়েছেন বলে নেটমাধ্যমে জানালেন।
অন্যদিকে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও করোনা আক্রান্ত বাচিক শিল্পী জগন্নাথ বসু ও ঊর্মিমালা বসু। আপাতত ঊর্মিমালা হোম আইসোলেসনে থাকলেও জগন্নাথ বসু ভর্তি এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরিবারসূত্রে খবর, জগন্নাথ বসুর মধুমেহ রোগ আছে। নিয়মিত ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন তিনি। তাই জ্বর সামান্য বাড়তেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেন চিকিৎসক। সেই মত শুক্রবার স্ত্রী ঊর্মিমালা ও পুত্র ঋজু তাঁকে এম আর বাঙুরে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা এবং বুকের স্ক্যান করানো হয়েছে তাঁর। জগন্নাথের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল। পাশাপাশি হোম আইসোলেশনে আছেন ঊর্মিমালা, পুত্র ঋজু ও পরিবারের আরেক সদস্য। তিনবার পরীক্ষা করানো হয়। প্রথম দুবার নেগেটিভ আসে রিপোর্ট। তারপরেও উপসর্গ থাকায় তৃতীয়বার পরীক্ষা করার পর কোভিড পজিটিভ হন ঊর্মিমালা বসু। উত্তর কলকাতার যৌথ পরিবারে থাকা এই বসু পরিবারের বাকি সদস্যরাও উপসর্গহীন হতে পারেন, তাই নিভৃতবাসে রয়েছে গোটা পরিবারই।