হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার। বয়স ৯২। যকৃতজনিত সমস্যা নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয় শহরের এক সরকারি হাসপাতালে। বয়স বেড়েছে, ফলে এখনও পুরোপুরি বিপদ কাটেনি। অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। আইসিইউতেই রয়েছেন তিনি। সাড়াও দিচ্ছেন। অল্প কথাও বলছেন। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত কিছু খাচ্ছিলেন না। তবে গতকাল থেকে রাইস টিউবে খাচ্ছেন। পরিবারের লোকজন তো আছেই। তাঁকে দেখতে এসেছিলেন রাজনীতিবিদ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে বিমান বসুও দেখে গিয়েছেন তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা এখনও তাঁকে পুরোপুরি বিপন্মুক্ত বলতে পারছেন না।
বুধবার ফের মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। চিকিৎসকদের মূল চিন্তা এখন তরুণবাবুর বয়স এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা। এই কারনে বুধবার ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওযা হবে, যাতে কোনও ভাবে গলার অক্সিজেন সরবরাহকারী নল খুলে মুখ দিয়েই অক্সিজেন দেওয়া যায়। এর ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা কমবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গুরুতর অসুস্থ কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর কিডনির সমস্যা রয়েছে বলে খবর। এই মুহূর্তে ICU-তে রাখা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই পরিচালকের কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। কিডনির সমস্যার সঙ্গে, হার্ট ফেলিওরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তারপরই সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে।
সত্তর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক তিনি। একের পর এক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। ‘১৯৬২’-তে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান পরিচালক।