প্রয়াত বাদি দাস

A G Bengali
শেষ ঘোড়াও চলে গেল। থেমে গেল ঘোড় দৌড়। কর্কট রোগের কাছে হার মানল জীবনী শক্তি। প্রয়াত হলেন মহীনের ঘোড়াগুলির বাপিদা। ওরফে তাপস দাস। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। রবিবর প্রয়াত হলেন মহীনের ঘোড়াগুলির শেষ ঘোড়া বাপিদা। তবে থেকে গেল তাঁর গানগুলি। ভুগছিলেন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। এপার বাংলা ওপার বাংলাতে তাঁর চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছিল। ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। আকাশ ছোঁয়া চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পরিবারকে। শেষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর ভক্তরা টাকা জোগাড় করতে শুরু করলেও তাতে সায় ছিল না তাঁর। তবে রাজ্য সরকার সাহায্য করলে মানা করবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে কেমো থেরাপি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, কিছুতেই শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন গায়ক রূপম ইসলাম। তারপরই দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার। ওই অবস্থাতেই গানই যে তাঁর প্রথম এবং শেষ প্রেম তা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নাকে রাইলস টিউব লাগানো ছিল। সেই অবস্থাতেই গেয়ে উঠেছিলেন ভালোবাসি জ্যোৎস্নায়।
রূপম ইসলাম তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, সচল হয়েই থেকে গেল গান জীবনের অনন্ত পথ চলা। বাপিদা সশরীরে তুমি নেই। কিন্তু এভাবেই থাকবে। ১৯৭৫ সালে হাতে গিটার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল মহীনের ঘোড়াগুলি। বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলি। পৃথিবা, টেলিফোন, তোমায় দিলাম। আজও জনপ্রিয়। একইভাবে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি প্রয়াত হলেন। একসঙ্গে পথ চলা শেষ হল এক অনন্ত জীবনের। সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সবার প্রিয় বাপিদা।

Find Out More:

Related Articles: