যা এককথায় ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য।

Narayana Molleti

চলতি বছরের মার্চ মাস। দিনটা রবিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল। অকস্মাত সোশ্যল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট আগুনের চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। কী পোস্ট ? মোস্ট ওয়ান্টেড জইশ জঙ্গি প্রধান মাসুদ আজহারের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এটা যে কৌশল হতে পারে, সেটা সংবাদমাধ্যেমের বুঝতে অসুবিধা হয়নি। কারণ, এর আগেও আল কায়দার শীর্ষ নেতা আল জাওয়াহিরির বিভিন্ন সময়ে মৃত্যু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। পরে অডিয়ো বার্তা দিয়ে সেই মৃত্যু সংবাদ খারিজ করেছিল আল কায়দা।


আর হলও সেটা। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জে পরে নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকায় জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের অন্তর্ভুক্তি ঘটে। যা এককথায় ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য। কিন্তু যে প্রসঙ্গে এই লেখা, সেটি হল- গুজব ছড়িয়ে লাভ কী ? যদি গভীরে গিয়ে ভাবা যায় তাহলে বোঝা যাবে -


১. পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তান চাপে ছিল। কারণ ভারত যোগ্য জবাব দিয়েছে।

২. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে চাপে পড়েছিল।

৩. বন্ধু চিনও সন্ত্রাস মোকাবিলার বার্তা দিয়েছিল

৪. পাক মাটিতে বেড়ে ওঠা এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহার। তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়ার আরজি জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন করে প্রস্তাব পেশ করেছে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স।


সবমিলিয়ে কার্যত কোনঠাসা অবস্থায় ছিল ইমরান খানের সরকার। আর এই খবর পাকিস্তানের তরফ থেকে প্রকাশ করা হলে কিছু অপশন ভেবেই হয়তো করা হয়েছিল। যেমন

-

১. ভারত যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে এরপর সেই গতি কিছুটা স্তিমিত হওয়ার সম্ভাবনা হলেও হতে পারে

২. পাকিস্তানের ভিতরে যে আওয়াজ উঠেছিল ইমরানের বিরুদ্ধে সেটা প্রশমিত হবে!

৩. মাসুদ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চাপ কিছুটা কমবে

৪. ফোকাস কিছুটা ঘোরান যাবে


তবে গুজব ধরা পড়তে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। অন্যদিকে, মাসুদের সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদকে দীর্ঘদিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদকেও একই ভাবে নিষিদ্ধ করে রেখেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, এর ফলে এই সব জঙ্গি গোষ্ঠীর ভারত-বিরোধী নাশকতা একচুলও কমেনি। তবে নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকায় জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের অন্তর্ভুক্তি ভারতের কাছে অসম্ভব রকমের বড় কূটনৈতিক সাফল্য।


Find Out More:

Related Articles: