স্বাধীনতা দিবসে বীরচক্র প্রদান অভিনন্দনকে
আই থিঙ্ক আই অ্যাম নট সাপোজ টু টেল ইউ দ্যাট -
অভিনন্দন বর্তমানের এই একটা সেন্টেন্স যেন দেশবাসীকে পাগোল করে দিয়েছিল।
পাকিস্তানের ডেরায় গিয়ে চায়ের কাপে হাতে ঠিক এভাবেই অকুতোভয় অবস্থায় চোখে চোখ রেখে
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে উত্তর দিয়েছিলেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন
বর্তমান। আর এই সাহসিকরতার জন্যই সেনাবাহিনীর তৃতীয়
সর্বোচ্চ সম্মান বীরচক্র পেতে চলেছেন অভিনন্দন। যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব প্রদর্শনের
জন্য এই সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। পরমবীর চক্র, মহাবীর চক্রের পরেই আসে বীরচক্রের মতো সম্মান। গত এপ্রিল মাসেই অভিনন্দনের নাম
প্রস্তাব করা হয়। এখন শুধু রাষ্ট্রপতির সিলমোহরের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, এদিনই
হয়তো প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতে আক্রমণ করতে আসা একটি এফ ১৬ বিমানের পিছু ধাওয়া করেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু তাড়া করতে করতে সীমানা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়েন পাক উপত্যকায়। এরপর আহত অবস্থায় পাক সেনার হাতে বন্দি হল অভিনন্দন। তারপর তাঁর রক্তাক্ত অবস্থার ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে পাক সেনা। এই ঘটনার প্রায় ৬০ ঘন্টা টানাপোড়েনের পর পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরে অভিনন্দন। দেশে ফিরে বীরের মর্যাদা পান তিনি।
উল্লখ্য, শুধু অভিনন্দন বর্তমানই নন মিরাজ ২০০০ বিমান থেকে বালাকোটে পাকিস্তানের ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে আসা ২১ জন বায়ুসেনাও পুরস্কৃত হবেন। সেই সঙ্গে ২৭ ফেব্রুয়ারি বালাকাোট অভিযানের সময় গুরুদায়িত্ব সামলানো বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার মিনতী আগরওয়ালকেও পুরস্কৃত করা হবে। তাঁকে যুব সেবা মেডেল দেওয়া হবে জানা গিয়েছে।