ছিলেন হায়দরাবাদে, সেখান থেকে সব কর্মসূচী কাটছাঁট করে দিল্লিতে ফিরে এসেছেন অমিত শাহ। অরুণ জেটলির মৃত্যুতে শোকাহত তিনি। তিনি বলেন, জেটলিজি’র মৃত্যু আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি। জেটলিজির মৃত্যুতে শুধুমাত্র দলের একজন বরিষ্ঠ নেতাকেই হারালাম না বরং পরিবারের একজনকে হারালাম। আমার কাছে উনি ছিলেন একজন পথপ্রদর্শকের মতো।
উল্লেখ্য, ৯ অগাস্ট গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় যখন দিল্লির এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে পোঁছে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
প্রসঙ্গত, ২৪ অগাস্ট দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করনে এই দূরদর্শী নেতা। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যখন প্রবল মোদী হাওয়া তখন তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবুও তিনি মোদী জমানার ঘনিষ্ঠ বত্তেই ছিলেন। ছিলেন অর্থমন্ত্রী হিসাবেই। তবে রাজনীতিতে হাতে খড়ি জরুরি অবস্থায় জেলে যাওয়া থেকে। ১৯ মাস জেলে কাটিয়েছেন। তবে যাঁদের সঙ্গে জেলে কাটিয়েছেন তারপর থেকে তাঁর জীবনদর্শনই পাল্টে গিয়েছে। জেলে ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, নানাজি দেশমুখের মতো প্রবাদ প্রতিম নেতারা। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওকালতির মতো সমান্তরাল গতিতে এগিয়ে নিয়ে গেছেন রাজনীতিকেও। তবে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে সাফল্য তাঁর খুব একটা আসেনি। শেষ বার ভোটে জিতেছিলেন ১৯৭৪ সালে দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। পরের চারদশক অবশ্য তিনি ব্যাকরুম স্ট্র্যাটেজিস্ট ছিলেন পার্টির জন্য। নির্বাচনের জন্য প্রচার কৌশল এবং রণকৌশল তৈরির কারিগর ছিলেন তিনি।