দিল্লি মস্কো চুক্তি

Biswas Riya

জম্মু- কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ ও বিশেষ সম্মান প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

 আগামী ৪ এবং ৫ সেপ্টেম্বর ভ্লাদিভস্তকে ‘ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরাম’ এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সেখানেই পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনটিও সারবেন।

সূত্রের খবরানুসারে পুরনো বন্ধুত্ব ঝালাই করে নেওয়ার পাশাপাশি এই সফরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একগুচ্ছ চুক্তিও হতে চলেছে। দু’দেশের নৌ, বিমান ও স্থলসেনা যাতে পারস্পরিক সামরিক সুবিধেগুলি ব্যবহার করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা ও চুক্তি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালে আমেরিকার সঙ্গেও এই ধাঁচের চুক্তি হয়েছিল। 

খুব সম্ভবত রাশিয়া চাইছে চিন-নির্ভরতা থেকে ইউরেশিয়াকে বার করে এনে এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে। মার্কিন-বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কিছু ক্ষেত্রে মস্কোর সঙ্গে বেজিং-এর সমন্বয় দেখা যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু দু’দেশের মধ্যেও বিরোধিতার জায়গাটিও বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার অনেকটাই বাণিজ্যিক। সে ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি রাশিয়ার সঙ্গে পুরনো জোট পোক্ত করতে পারলে আঞ্চলিক ভূকৌশলগত রাজনীতিতে লাভ হবে ভারতের।

ভারতের ক্রমবর্ধমান মার্কিন নির্ভরতাকে ভালো চোখে দেখেননি পুতিন। ফলে ২০১৫ সালের পর থেকে রাশিয়া পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়ায় কিছুটা হতাশ হয়েছিল সাউথ ব্লক। কিন্তু অতীতের মন কষাকষিকে সরিয়ে নতুন করে সমঝোতা গড়ায় লক্ষ্য ভারতের।

সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হওয়ায় রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেছিলেন ‘‘এই সমস্যার সমাধান করা উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ এবং প্রস্তাব মেনে।’’ পরে অবশ্য কিছুটা বক্তব্য বদলে সে দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। 

 

 

 

 


Find Out More:

Related Articles: