ব্যারাকপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এডিজি আইনশৃঙ্খলা কী বললেন ?
ব্যারাকপুরের
বর্তমান পরিস্থিততে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যখন সরব বিরোধীরা, তখন অধস্তনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মানতে
নারাজ অডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং। তিনি বলেন, পুলিশ অনেক ধৈর্য ধরে কাজ করেছেন মনোজ ভার্মা। ধৈর্য হারালে
আরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। সেই সঙ্গে তিনি জানান, জগদ্দল ও ভাটপাড়া থেকে ৩০০ বোমা ও ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র
উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা অশান্তি ছড়িয়েছে তা স্পষ্ট। কেউ ছাড় পাবে না। রবিবার
জনতাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্জুন সিং।
প্রসঙ্গত, রবিবার একটি পার্টি অফিস দখল এবং জগদ্দলে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটা। এই দুটি ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্যামনগর। এই ঘটনার প্রতিবাদের সোমবার ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি। সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ, দফায় দফায় অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা। তবে অশান্তি ঠেকাতে সকাল থেকেই পুলিশের টহলদারী চলতে থাকে। কাঁকিনাড়া ও ব্যারাকপুর অঞ্চলজুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ চলতে থাকলে পুলিশ লাঠিতার্জ করে। শ্যামনগরে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ চলে। জানা যায়, ব্যারাকপুর ব্রিজের কাছে জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে।
এই বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোননি। রাস্তাঘাট থমথমে। কল্যাণী এক্সপ্রেস অবরোধ হওয়ায় ট্রাক, লরি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সকালের দিকে শিয়ালদহ-রানাঘাচ লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অশান্তির অভিযোগে মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।