সময়ের বিচারের মাত্র আড়াই বছর পর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে । আর এই সময়ের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে রাজনীতিতে কার্যত বিরোধীরা নেই বললেই চলে । মায়াবতী ও অখিলেশের জনপ্রিয়তা দ্রূত কমছে । আর যোগী সরকারের আগ্রাসী মানসিকতার কাছে অখিলেশ-মায়াবতী হার মেনে নিয়েছে । হার মানেনি কংগ্রেস নেত্রী তথা ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী । তিনি নিরবে উত্তরপ্রদেশে কাজ করে চলেছেন । তার মধ্যে ইন্দিরার ছায়া দেখতে পায় উত্তরপ্রদেশের সাধারন মানুষ । তাই প্রিয়াঙ্কাকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চলেছে কংগ্রেস । তাঁর জনমোহিনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আবার জেগে উঠতে চায় কংগ্রেস ।
জানা গেছে , আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে উত্তরপ্রদেশে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চলেছে এআইসিসি । তাই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও খুব শীঘ্রই প্রিয়ঙ্কাকে এআইসিসি–তে গোটা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিতে চাইছেন। গত সপ্তাহে রাজ্য কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবারও রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এর আগে জেলা ধরে ধরে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে প্রিয়ঙ্কাকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দেওয়া হয় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব। জ্যোতিরাদিত্য এখন মধ্যপ্রদেশে দলের সভাপতি হতে চাইছেন। আজ গ্বালিয়রে তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের সভাপতি কে হবেন, তা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ঠিক করবেন। সেই সিদ্ধান্তই সকলে মেনে নেবে।’’ কিন্তু সভাপতি হতে না পারলে জ্যোতিরাদিত্যর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।প্রিয়াঙ্কা-জ্যোতিরাদিত্য জুটি অবশ্য লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে একমাত্র সনিয়ার রায়বরেলী ছাড়া আর কোনও আসনে কংগ্রেসকে জিতিয়ে আনতে পারেনি। রাহুল গাঁধী লোকসভা ভোটের আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসের আসল লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। সেখানে যে প্রিয়ঙ্কাকে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরা হবে, সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কাকে গোটা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়ার পরেই রাজ বব্বরের জায়গায় নতুন রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করা হবে। অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের নিয়ে বহরে ছোট মাপের একটি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিই ২০২২ পর্যন্ত কাজ করবে।