মারুতি সুজুকির গাড়ি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ

Paramanik Akash
গাড়ি বিক্রি হচ্ছে না । মন্দার কোপ থেকে বাঁচতে এবার  সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল মারুতি সুজুকির মত নামি গাড়ি উৎপাদন সংস্থা ।
আগামী ৭ এবং ৯ সেপ্টেম্বর সংস্থার গুরুগ্রাম এবং মানেসরের কারখানায় গাড়ি উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

গত কয়েক মাস ধরেই গাড়ি শিল্পে তীব্র মন্দা চলছে। সব সংস্থারই বিক্রি কমছে ব্যাপক হারে। মারুতিও তার ব্যতিক্রম নয়। সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী— গত বছরের অগস্টের তুলনায় এ বছর অগস্ট মাসে সব গাড়ি মিলিয়ে বিক্রি কমেছে ৩২.৭ শতাংশ। যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রিতে সঙ্কট আরও তীব্র। বিক্রির হার কমেছে ৩৬.১৪ শতাংশ। কিছু দিন আগেই, এক লপ্তে তিন হাজার অস্থায়ী কর্মীর চুক্তি পুনর্নবীকরণ না করে তাঁদের ছেঁটে ফেলেছে এই সংস্থা। তার আগের ছয় মাসে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল সংস্থার ৬ শতাংশ অস্থায়ী কর্মীকে।
সঙ্কট-পরিস্থিতির জেরে উৎপাদন বন্ধ রেখে ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটার ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিল মারুতি-সুজুকি। বুধবার সেই ঘোষণাই করা হল। এ দিন সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ (শুক্রবার) ও ৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) গুরুগ্রাম এবং মানেসরের কারখানায় যাত্রীবাহী গাড়ি উৎপাদন হবে না। ওই দু’দিন ‘নো প্রোডাকশন ডে’ ঘোষণা করা হয়েছে দুই কারখানায়। 
 হরিয়ানার কারখানায় ২ দিনের জন্য গাড়ির উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। দশ বছরে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘট।
৭ এবং ৮ সেপ্টেম্বর এই দুইদিন গুরগ্রাম এবং মানেসরের কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই সংস্থা। আগস্টেই গাড়ির উৎপাদন ৩৩.৯৯ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে সংস্থা। চলতি মাসে মাত্র ১,১১,৩৭০ টি ইউনিট তৈরি করেছে মারুতি সুজুকি। যেখানে ২০১৮ সালে একই সময়ে ১,৬৮,৭২৫ ইউনিট তৈরি করা হয়েছিল।
গাড়ি বাজারের হাল ফেরাতে শেষে হস্তক্ষেপে করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। গত রবিবারই তিনি গাড়ির ওপর জিএসটি কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়াও গত ২৩ আগস্ট বিভিন্ন সরকারি দফতর গুলিকে নতুন গাড়ি কেনার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। ৩১ মার্চ ২০২০ সাল পর্যন্ত সরকারি দফতর গুলি নতুন গাড়ি কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 


Find Out More:

Related Articles: