ডুবন্ত অর্থনীতি থেকে নজর ঘোরাতেই চন্দ্রযান-২’কে ব্যবহার! বিধানসভায় মু্খ্যমন্ত্রী
গোটা দেশ অধীর
আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অপেক্ষার প্রহর গুনছে। ঠিক সেই সময় বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ''মনে হচ্ছে প্রথমবার চন্দ্রযান পাঠানো হল। ওরা ক্ষমতায় না থাকলে যেন এই ধরনের
অভিযান হতো না। এটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা।'' মমতা আরও বলেন, ''বিজেপি নেতারা
চাঁদে গিয়ে জায়গা রাখুন। ওখানে গিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়ে থাকুন।'' এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন তাঁর দফতরের নিয়োগ নিয়ে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে, পরিবহণ দফতরে ৩-৪ লাখ টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। এটা কি সত্যি? জানা যায়, এই প্রশ্ন শুনেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তারপর তিনি প্রতিমা রজকের উদ্দেশ্যে বলেন, এরকম কোনও অভিযোগ থাকলে তিনি প্রমাণ করুন। যদি না করতে পারেন তাহলে এক্ষুনি ক্ষমা চান। এখানেই শেষ নয় শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, গোটা মুর্শিদাবাদ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেই। অভিযোগ, প্রতিমাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন- পরের নির্বাচনে আপনি হারবেন। মন্ত্রীর কথা শুনে প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। নিজের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন, বাধা দেন হুমায়ুন রাজা। কিন্তু কোনও বাধা না শুনে তেড়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। এই পরিস্থিতিতে সরকার পক্ষের বিধায়কেরা আসন থেকে নেমে বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শিউলি সাহা ও অমল আচারিয়া সরাসরি বচসায় নামেন। যার জেরে ধুন্ধুমার চেহারানেয় সমগ্র পরিস্থিতি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীকে ওয়েলে নামতে হয়। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।