আগষ্ট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু হয়েছে । কিন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ বিষযে সেই সময় কিছুই বলেননি । শনিবার সেই দাবিতে সিলমোহর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসের তরফে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিরোধী অভিযানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে আল কায়দার উচ্চ পদস্থ সদস্য এবং ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু হয়েছে।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুতে শুধু মাত্র আল কায়দা এক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাই হারাল না, বরং জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ওই গোষ্ঠীটির ভিত নড়ে গেল।
গত মাসেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার হামজার মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। তবে তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কোথায় হামজার মৃত্যু হয়েছে তা জানালেও, কখন সেই অভিযান চালানো হয়েছিল সে তথ্য অবশ্য দেয়নি মার্কিন প্রশাসন।
হামজা ওসামা বিন লাদেনের তৃতীয় স্ত্রী-র সন্তান। ওসামার কুড়িটি সন্তানের মধ্যে ১৫তম ছিল হামজা। তার বয়স তিরিশের আশপাশেই বলে জানা গিয়েছে। আল কায়দার এক জন উঠতি নেতা হিসাবেই তাকে ধরা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই তার মাথার দাম ১০ লক্ষ ডলার ঘোষণা করেছিল ওয়াশিংটন।
হামজাকে শেষ বারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল গত বছরের মাঝামাঝি। একটি ভিডিয়ো বার্তায় সে সৌদি আরবকে হুমকি দেয়, আমেরিকার সঙ্গে হাত মেলালে তার মাশুল দিতে হবে তাদের। সৌদি রাজপরিবারকেও হুঁশিয়ারি দেয় সে। কিন্তু তার পরে আর প্রকাশ্যে আসেনি। সে কোথায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে, জানা যায়নি। তবে মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী এফবিআই-এর ধারণা ছিল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরানেই ঘোরাফেরা করত হামজা।