মাতৃভাষার থেকে বড় কেও নয়

Biswas Riya

গত শনিবার হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে অমিত শাহ বলেছিলেন যে ‘‘গোটা দেশের জন্য একটা ভাষা থাকা খুব দরকার। হিন্দিই পারে সেই ঐক্যের কাজ করতে।’’ বুধবার তিনি বললেন, ‘‘আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া কথা বলিনি। বলেছি, দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা। আমি নিজেই অ-হিন্দিভাষী রাজ্য থেকে এসেছি।’’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শনিবারের কথাকে ঘিরে এই ক’দিন শুধু কংগ্রেস, বাম, ডিএমকে, জেডিএস-এর মতো বিরোধীরাই মুখ খোলেনি, অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল শরিক দল এডিএমকে-ও। গত কাল কমল হাসন একটি ভিডিয়ো বিবৃতি দেওয়ার পরে এ দিন সরব হন দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত। সকলেই দাবি করেন, জোর করে হিন্দি চাপানোর চেষ্টা হলে তা মানা হবে না।এরপরেই অমিত শাহ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন।

বুধবার রজনীকান্ত বলেন, ‘‘হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দিলে, তামিলনাড়ু তো বটেই, দক্ষিণের কোনও রাজ্যই তা মেনে নেবে না।’’ গত রাতে টুইট করে একই কথা বলেন পি চিদম্বরম। আজ রাঁচীতে কিন্তু অমিত বললেন, ‘‘আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। মাতৃভাষার পরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি শেখার কথা বলেছিলাম শুধু। আমি নিজেও একটি অ-হিন্দি রাজ্য, গুজরাতের বাসিন্দা। আমাব বক্তব্যটা আগে ভাল করে শুনুন।’’যদিও  দেশকে এক সুরে বাঁধতে এক ভাষার সূত্র যে জরুরি, সেই যুক্তিতে আজও অনড় ছিলেন শাহ।তিনি আরও বলেছেন  ‘‘দেশে একটি সাধারণ ভাষা থাকা প্রয়োজন। মাতৃভাষা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা শিখতে হলে হিন্দি শিখুন।’’ তবে অনেকের মতে দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজির বদলে শুধু হিন্দি করা হলেও অনেক রাজ্যই আপত্তি তুলবে।যদিও অমিত শাহ দাবী করেছেন  ‘‘আমি শুধু অনুরোধ করেছি।’’

 

 

 

 


Find Out More:

Related Articles: