প্রতিরক্ষা , ব্যাঙ্ক , বিএসএনএল রেল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিলগ্নীকরণ করার যে সিদ্ধান্ত মোদী সরকার নিয়েছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছেন মমতা

Paramanik Akash
একের পর এক পাবলিক সেকটরকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া ও বিলগ্নীকরণের প্রতিবাদে সুর চড়া করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।সোমবার দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির ডাকে নেতাজি ইন্ডোরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভার মূল বক্তা ছিলেন মমতা। পুজোর আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন এদিন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। মানুষ কথা বলতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণ করিয়ে দেন, প্রতিবাদের মূল্য আছে। তবে তা না থাকলে ভারত থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তণমূল নেত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই গায়ের জোরে সব কিছু করতে চাইছে সরকার।
এদিনের সভা থেকে প্রতিরক্ষা, ব্যাঙ্ক, বিএসএনএল, রেল-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কথা বলতে ভয় পেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করুন। তাতেও অসুবিধা থাকলে পরিবারের লোকদের দিয়ে প্রতিবাদ করুন। এই সব কেন্দ্রীয় সংস্থার শাখাগুলি বিভিন্ন রাজ্যে থাকায়, বাংলা থেকেই প্রতিবাদ শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের পাশে থাকতে দলের তরফে কোর গ্রুপ তৈরি করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। সেই কোর গ্রুপে রাজ্যসভাা এবং লোকসভার সাংসদদের রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে শ্রমিক নেতাদেরও। কোর গ্রুপের সদস্যরা হলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, সৌগত রায়, সুব্রত বক্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু বসুর মতো অনেকেই। এঁরা কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন, প্রোগ্রাম অর্গানাইজ করবেন।
তবে এদিনের মঞ্চ থেকে আন্দোলনের দিনই ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা একটায় কোল ইন্ডিয়ার সামনে প্রতিবাদ সভা করা হবে। সেই সভায় আশপাশের কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীরা টিফিনের সময় যোগ দেবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৬ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির সামনে ধর্নার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৮ অক্টোবর বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে বেলা ২ টোয় শিয়ালদহ থেকে ফেয়ারলি প্লেস পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েএছ। সব শেষে দিল্লিতে ধর্নার কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


Find Out More:

Related Articles: