আরএসএসের রাজনৈতিক শাখা হওয়া সত্ত্বে মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি সরকার সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ বলে পরিচিতি হয়েছে । দেশের যেসব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আছে সেই সব রাজ্যে নারী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন সবচেয়ে বেশি বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে । এমনকি যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ধর্ষণের সঙ্গে খোদ বিজেপি নেতা ও বিধায়করা জড়িয়ে গেছেন । নিরব যোগী । একজন ধর্মের সাধক হয়ে তাঁর রাজ্যে যেভাবে নারী নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে যোগী রাজ্য এখন রাম রাজ্য হতে পারেনি ।
এছাড়া যেসব বিজেপি-র দখলে সেখানে নারীরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছে । রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ৩২ বছরের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে ত্রিপুরায় । রাজধানী শহর আগরতলা থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরে এই ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সন্তানের চিকিৎসার জন্য আগরতলার গোবিন্দবল্লভ পন্থ হাসপাতালে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। ফেরার পথে তিনি একটি অটোয় ওঠেন। কিন্তু, অটো চালক তাঁকে ভুল পথে নিয়ে চলে যায়। রাস্তায় আরও আট জন ওই অটোয় ওঠে। এর প্রতিবাদ করায় ওই মহিলা গলা টিপে ধরা হয়। অভিযোগ, আগরতলা শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে নরসিংহগড় এলাকায় ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। রাত সাড়ে ১১ নাগাদ তাঁকে আগরতলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
পরের দিন বুধবার ভোর বেলা অচৈতন্য অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় অপহরণ, গণধর্ষণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র–সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই কাণ্ডে অভিযুক্ত ন’জনের মধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অটোচালক তাঁর পরিচিত। ঘটনার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা মহিলার স্বামী। তাঁর দাবি, অভিযোগ নিয়ে গড়িমসি করেছে পুলিশ। এফআইআর দায়ের করতে তাঁকে তিনটি থানায় দৌড়ে বেড়াতে হয়। তবে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত সাজার দাবি করেছে মহিলা সংগঠনগুলি। নারী নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধীরাও। ঘটনাচক্রে সেই সময় রাজ্যের বাইরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রাজ্য পুলিশের ডিজির থেকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি।