উন্নয়নমূলক কাজে বিশেষ সাফল্যের জন্য দেশের আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েতের মধ্যে ২৪০টি পঞ্চায়েতকে ‘জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করা হয়েছে। দিল্লীতে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নতুন ভারত গঠনের জন্য সব পঞ্চায়েতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ণের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলির ক্ষমতার সদ্বব্যহার করা প্রয়োজন। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের দায়িত্ব দেশের অন্যান্য জন-প্রতিনিধিদের থেকে কোনও অংশেই কম নয় বলে তিনি জানান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভালো কাজ করে এবছরের পুরস্কারপ্রাপ্ত পঞ্চায়েতগুলি আগামীদিনে অন্যান্য পঞ্চায়েতের কাছে আদর্শ হয়ে উঠবে এবং অনুপ্রেরণা জোগাবে। জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার অনুষ্ঠানে কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, আসাম, তামিলনাড়ু রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীরা উপস্হিত ছিলেন। এবার বিভিন্ন বিভাগে উন্নয়নমূলক মাপকাঠির বিচারে পুরস্কারের জন্য পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। এর ফলে আগামীদিনে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত এবং গ্রামসভা স্তরে যেকোন ধরণের জন-কল্যাণমূলক কাজে উৎসাহিত হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এবছর জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে ৫টি বিভাগে।
শৌচালয় নির্মাণ, জনপরিষেবা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, সামাজ সংস্কার, বিপর্যয় মোকাবিলা, ই-গর্ভনেন্সের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণ পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে ১৯৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে।
সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য ‘নানাজি দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে ২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে।
গ্রাম পঞ্চায়েত মন্ত্রক দ্বারা নির্ধারিত নীতি মেনে গ্রামে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ‘গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে।
এবছর ‘শিশু-বান্ধব গ্রাম পঞ্চায়েত পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে।
পঞ্চায়েত স্তরে ই-গর্ভনেন্স ব্যবস্হাপনা চালু করে সরকারি ও জন-কল্যাণমূলক কাজে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য ‘ই-পঞ্চায়েত পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে ৬টি রাজ্যে।
এদিন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার জন্য ‘গ্রাম মানচিত্র’ শীর্ষক একটি অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপেরও সূচনা করেন।