কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলো জম্মু-কাশ্মীর, এক নজরে দেখে নিন হাফ ডজন পরিবর্তন
৫ অগাস্ট ২০১৯। সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানালেন,
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করা হলো। এরপরই শুরু হয় চরম বিতর্ক, বিরোধীতা। কিন্তু
রদ হয় ৩৭০। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ৩১ অক্টোবর থেকে সরকারি ভাবে আলাদা যাত্রা শুরু
করবে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বৃহস্পতিবার ছিল সেই দিন। আর সরাকারি ভাবে কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চল হওয়ায় দেশের রাজ্যের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ২৮ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা
বেড়ে ৯। নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে
শপথ নিলেন ১৯৮৫ ব্যাচের আইএএস অফিসার গিরীশচন্দ্র মুর্মু। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। লাদাখের
লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর হলেন দেশের প্রাক্তন তথ্য কমিশনার রাধাকৃষ্ণ মাথুর। এবার
দেখে নেওয়া যাক কী কী পরিবর্তন হলো –
১) এক কোটি ২২ লক্ষ জনসংখ্যার জম্মু-কাশ্মীরে থাকবে নির্বাচিত আইনসভা, যার মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
২) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা-সহ বেশির ভাগ ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রের হাতে।
৩) লাদাখের তিন লক্ষ মানুষ এ বার সরাসরি কেন্দ্রের শাসনে।
৪) এতদিন জম্মু-কাশ্মীর থেকে ছ’জন সাংসদ যেতেন লোকসভায়। রাজ্য ভেঙে যাওয়ায় জম্মু-কাশ্মীর পাবে পাঁচ জন সাংসদ। লাদাখের সাংসদ সংখ্যা হবে এক।
৫) সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়ে রাজ্য ভাগ হওয়ায় পূর্বতন জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তৈরি ১৫০ আইনও অবলুপ্ত হল।
৬) এখন থেকে জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা না হলেও সেখানে জমি লিজ নেওয়া যাবে। জমির বিষয়টি দেখবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচিত সরকার।