‘চিন হোক বা অন্য কোনও দেশ, আমরা কখনওই চাই না, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলুক। ভারত যেমন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে যায় না।’ চিন কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রকের

Paramanik Akash
স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মজয়ন্তী দিনেই জম্মু- কাশ্মীরকে  আনুষ্ঠানিকভাবে ভাগ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হল আজ থেকেই । আর এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোর সওয়াল করলেন ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পক্ষে। গুজরাতের কেভাডিয়াতে পটেল মূর্তি প্রাঙ্গনে জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এত দিন পর্যন্ত কাশ্মীরে ছিল শুধুই সন্ত্রাসবাদ আর বিচ্ছিন্নতাবাদ। কিন্তু এ বার ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সঙ্গে সঙ্গেই তার অবসান ঘটেছে। এ বার উপত্যকায় উন্নয়নের নবযুগ শুরু হবে।
সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এ দিন একতা দিবস প্যারেডের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর পটেল মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, পটেল ছিলেন ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই আমাদের দেশের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। সেই ধারণার ধারক-বাহক ছিলেন তিনি। তিনি তাঁর সারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশের সংহতির জন্য। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদকে তাঁর উদ্দেশে উৎসর্গ করেন মোদী।
আজ বৃহস্পতিবারই সরকারি ভাবে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। এদিন মোদী বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ শুধু বিচ্ছিন্নতাবাদ আর সন্ত্রাসবাদ ছাড়া তিন দশকে কিছুই দেয়নি। এই ধারার কারণেই এই সন্ত্রাসবাদ তিন দশকে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কত দিন আর দেশের এই নির্দোষ মানুষের মৃত্যু দেখবে? এই ৩৭০ অনুচ্ছেদ একটা অস্থায়ী দেওয়াল তুলে দিয়েছিল। আমাদের ভাইবোন (জম্মু-কাশ্মীরের) সেই দেওয়ালের ওপারে থাকতেন। তাঁরাও ছিলেন বিচ্ছিন্ন।’’
‘‘এ বার জম্মু কাশ্মীরে রাজনৈতিক স্থিরতা আসবে। নিজেদের স্বার্থে সরকার গঠন আর সরকার পতনের প্রবণতা বন্ধ হবে। এ বার উপত্যকায় পায়ে পা মিলিয়ে উন্নয়নের নবযুগের সূচনা হবে। নতুন কলেজ, নতুন হাসপাতাল, নতুন হাইওয়ে, রেললাইন জম্মু-কাশ্মীরকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, বলেন মোদী।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের কাছে এটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা মিলবে। আজ থেকে সেটা চালু হয়ে যাবে।’’


Find Out More:

Related Articles: