শেষরক্ষা হলনা সিয়াচেনে
অনেক চেষ্টা চরিত্র করেও শেষ পর্যন্ত সবদিক রক্ষা করা গেলনা। সিয়াচেনে তুষারধসের ফলে মৃত্যু এড়ানো গেলনা শেষ পর্যন্ত। সেনা তরফ থেকে যতদূর জানা গেছে টহলদারির সময় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৯ হাজার উঁচুতে তুষারধস নামে। তাতে চাপা পড়া সেনা জওয়ান ও মালবাহকদের মৃত্যু হয়েছে ‘হাইপোথার্মিয়া’র কারণে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে আরও ২ জনের। ৬ জনের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
আরও জানা গেছে সোমবার টহলদারির জন্য উত্তর সিয়াচেনে মোতায়েন ছিল আট জনের একটি দল। দুপুর তিনটে নাগাদ আচমকাই বিশাল তুষারধস নামে। তাতে সবাই চাপা পড়েন। খবর পেয়ে সেনার অন্য একটি দল কিছুক্ষণ পরেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। ঘটনাস্থল চিহ্নিত করার পর শুরু হয় পুরু বরফের স্তর সরিয়ে তাঁদের উদ্ধারকাজ। উদ্ধারের পরে হেলিকপ্টারে করে স্থানীয় সেনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৬ জন মারা যান।
হাসপাতালের তরফ থেকে জানা গেছে ‘‘বরফের নীচে চাপা পড়ায় ‘হাইপোথার্মিয়া’য় আক্রান্ত হন সবাই। এই রোগে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত নামতে থাকে। শরীরে যে হারে তাপ উৎপন্ন হয়, তার চেয়ে দ্রুতগতিতে নামতে থাকে ঠান্ডায়। এ ছাড়া ফ্রস্টবাইটও ছিল সবার। সেই কারণেই অনেক চেষ্টা করেও সেনা জওয়ান ও মালবাহকদের বাঁচানো যায়নি। সেনার এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘সেনা জওয়ান ও মালবাহকরা টহলদারিতে মোতায়েন ছিলেন। ১৮ থেকে ১৯ হাজার ফুট উচ্চতায় তুষারধসে চাপা পড়েন তাঁরা।’’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘তুষারধসে সেন জওয়ান ও মালবাহকদের মৃত্যুর খবরে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। ওঁদের সাহসিকতা ও দেশের জন্য বলিদানকে কুর্নিশ করি। পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা।’’