‘‘সংবিধান দিবস ২০১৯-এ কী মনে থাকবে? ২৩ নভেম্বর এবং ২৬ নভেম্বরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে কদর্য সংবিধান লঙ্ঘন।’’: চিদম্বরম
জেলে বসেই মোদী সরকার ও বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন জেল বন্দী প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম । তিনি টুইটে মন্তব্য করেছেন , ‘কদর্য ভাবে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে’। রাতারাতি দেবেন্দ্র ফডণবীসের ‘গোপন’ শপথ এবং রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার নিয়ে চিদম্বরমের তোপ, ‘রাষ্ট্রপতি অফিসের উপর আঘাত’। একই সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে এবং জোট নেতৃত্বকে স্বাগতও জানিয়েছেন ৭৪ বছরের কংগ্রেস সাংসদ। অন্য দিকে বুধবারই চিদম্বরমের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।
আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় প্রথমে সিবিআই এবং পরে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে ৯৯ দিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন চিদম্বরম। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তার পরেই পর পর টুইট করেন চিদম্বরম। গতকালই সংসদে পালিত হয়েছে সংবিধান গ্রহণ দিবস ২০১৯। সেই প্রসঙ্গ টেনে চিদম্বরমের টুইট, ‘‘সংবিধান দিবস ২০১৯-এ কী মনে থাকবে? ২৩ নভেম্বর এবং ২৬ নভেম্বরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে কদর্য সংবিধান লঙ্ঘন।’’
চিদম্বরমের তোপ, ‘‘ভোর ৪টের সময় ঘুম থেকে উঠে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের সুপারিশে সই করলেন রাষ্ট্রপতি। সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন অপেক্ষা করা গেল না? এটা রাষ্ট্রপতি শাসনের উপর শারীরিক আঘাত।’’
রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করা বা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে নিয়ম হল, মন্ত্রিসভার বৈঠক করে সুপারিশ করা। তার পর সেই সুপারিশে সই করেন রাষ্ট্রপতি। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিশেষ ক্ষমতাবলে মন্ত্রিসভার বৈঠক না করেও অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতে সেটা করতে পারেন। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেটাই প্রয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত অজিত পওয়ার সরে দাঁড়ানোয় সংখ্যা জোগাড় করতে না পেরে মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। আগামিকাল শপথ নেবেন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস এনসিপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ইস্তফা দেওয়ার পরে এই জোটকেই ফডণবীস কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘তিনমুখী তিন চাকার গাড়ি’। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চিদম্বরম। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা গণতন্ত্রের বিবর্তন নিয়ে চর্চা করেন, তাঁরা মানেন যে, জটিল, বহুমুখী ও বৈচিত্র্যময় সমাজে সবচেয়ে ভাল শাসন দিতে পারে জোট সরকার। যারা অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচিকে সহমত হয়েছে।’’
চিদম্বরমের সঙ্গে জেলে গিয়ে সাক্ষাৎ করায় রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কার্তি চিদম্বরম। একই সঙ্গে বাবাকে জেলে আটকে রাখা নিয়েও সরব হয়েছেন কার্তি। তিনি বলেন, আজ ৯৯তম দিন। শুধুমাত্র রিমান্ডে কাউকে ৯৯ দিন আটকে রাখা বেআইনি। উনি বিচারাধীন নন, রিমান্ডে রয়েছেন। আশা করি, আমরা সুপ্রিম কোর্টে বিচার পাব এবং উনি শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন।