এই পুলিশ কমিশনার এর আগেও এমন এনকাউনতার করেছিলেন
হায়দরাবাদে চিকিত্সক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যু ঘিরে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। তেলঙ্গানা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশের একটা বড় অংশ। যদিও সেই প্রশংসার ঢল ভেঙে একটু একটু করে বাড়ছে পাল্টা প্রশ্ন। যাঁর নেতৃত্বে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে, সাইবরাবাদের সেই পুলিশ কমিনশনার ভিসি সজ্জনারকে নিয়েও প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে।
সাইবরাবাদের বর্তমান পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনার। তাঁর অতীত রেকর্ড জানলে আরও অবাক হবেন।
১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সজ্জনার। কর্নাটকের ছোট্ট শহর হুবলিতে জন্ম তাঁর। চাকরি জীবনে বরাবরই তিনি একজন শক্ত মানসিকতার পুলিশ কর্তা বলেই পরিচিত অধীনস্থ কর্মীদের কাছে।
২০০৮ সালে তিনি তেলঙ্গানার ওয়াড়াঙ্গলের পুলিশ সুপার ছিলেন। সে সময়ও একই ধরনের খবরের জন্য শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি।
ওয়াড়াঙ্গলের মামনুরের কাছে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল শ্রীনিবাস, হরিকৃষ্ণ এবং সঞ্জয় নামে তিন অভিযুক্তের। এরা তিনজনই এক তরুণীর উপর অ্যাসিড হামলা এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল।
শামসাবাদে তরুণী চিকিত্সকের গণধর্ষণের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে যে ভাবে চার অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ২০০৮ সালেও ওই তিন অভিযুক্তকে প্রায় একই ভাবো ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০০৮-এর ডিসেম্বর এবং ২০১৯ সালের ডিসেম্বর। মাঝে অনেকটা সময়ের ফারাক রয়েছে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই যেন একই ধরনের ঘটনা ঘটে গেল সাইবরাবাদের বর্তমান পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনার অধীনে।
২০০৮ সালেও সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছিলেন, ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই তিন অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে। আর তখনই পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। সে দিনও ঘটনাস্থলেই তিন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল।
আর ২০১৯ সালেও একই দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের তরুণী ওই চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তেরা পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের বন্দুকও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার তাগিদে তাদের এনকাউন্টার করা হয়।
তাঁর অধীনে ঘটে যাওয়া এই দুটো এনকাউন্টারের ঘটনাকে তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়া পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনার এখন ‘হিরো’। বিরুদ্ধ মতামতও অবশ্য ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
একদল মানুষ যেমন মনে তাঁকে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরছেন, এক শ্রেণির মানুষ আবার এই এনকাউন্টারকে সমর্থন না করে ভারতের বিচারব্যবস্থার উপরে ভরসা রাখছেন।