উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গ্রামে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন যোগী রাজ্যের মন্ত্রীরা

frame উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গ্রামে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন যোগী রাজ্যের মন্ত্রীরা

Akash Paramanik

হায়দ্রাবাদ ধর্ষন কান্ডে চার অভিযুক্তকে শুক্রবার কাকভোরে এনকাউন্টারে মৃত্যুকে ঘিরে গোটা দেশে হইচই পড়ে যায়। অন্যদিকে ষ শুক্রবার রাত ১১ টা ৪০ নাগাদ দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় ।উন্নাওয়ের২৩ বছরের ধর্ষিতা ওই তরুণীর।


 উন্নাওয়ের ওই ধর্ষণ ও হত্যার  ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর মন্ত্রিসভার দু'জন মন্ত্রী কমল রানি বরুণ এবং স্বামী প্রসাদ মৌর্যকে নির্দেশ দেন রাজ্যের রাজধানী লখনউ থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে উন্নাওয়ের গ্রামে গিয়ে নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য।
এরপরেই আজ শনিবার উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গ্রামে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীরা। মৃত নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে এলাকার মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।"এখন কেন?" মন্ত্রীদের গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করার পরেই সেই গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা; পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সেখানকার পুলিশ কর্মীরা।

এর আগে শনিবারই এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন যে "ওই মহিলার মৃত্যুর খবর শুনে অত্যন্ত মর্মাহত"। "এই মামলাটির দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে শুনানি করা হবে এবং দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে", জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী । জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার উন্নাওয়ের ওই নিগৃহীতা যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, সেই সময়েই তাঁর উপর হামলা করে ৫ দুষ্কৃতী, যাঁদের মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত ২ ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে ঘটনাস্থলেই মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। ৯০ শতাংশ পুড়ে যান ওই ধর্ষিতা, আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More