‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল’ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বললেন পড়ুন
প্রত্যাশামতোই সোমবার লোকসভায় ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল’ (Citizenship Amendment Bill - CAB) পেশ হতেই তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। বিরোধীতা চরমে ওঠে। তারপর পেশ করা নিয়ে শুরু হয় ভোটাভুটি। সেখানে বিল পেশ করার পক্ষে ভোট ২৯৩টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ৮২টি। তারপর বিলটি পড়তে শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ। বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তোলে কংগ্রেস (Congress)-সহ বিরোধীরা। বিলটি 'অসাংবিধানিক' বলে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেসও (TMC)। এদিন খড়গপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিভাজনের অভিযোগ তুলে তোপ দাগলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিএবি বলুন, আর এনআরসি বলুন, কয়েনের এ পিঠ আর ও পিঠ।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমরা সবাই নাগরিক, সবাই ভোট দিই। সবারই রেশন কার্ড আছে। কারও একটা স্কুল সার্টিফিকেট আছে, কারও একটা কাজ করার সার্টিফিকেট আছে, কারও জমির পাট্টা আছে। কিছু না কিছু তো আছে। তা হলে আবার নাগরিকত্ব নিয়ে কিসের প্রশ্ন?’’ কেউ ৭০ বছর ধরে এ দেশের নাগরিক, কেউ স্বাধীনতার পর থেকেই নাগরিক, এখন আবার তাঁদেরকে নতুন করে কোন নাগরিকত্ব দেবে সরকার? এই প্রশ্ন এ দিন আরও জোর দিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণে স্বভাবসিদ্ধ ঝাঁঝ নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আপনি কে, যে ঠিক করবেন, এ পাবে আর ও পাবে না?’’ খড়গপুরে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ফের জানিয়েছেন, এনআরসি হতে দেবেন না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘আসুন জোট বাঁধি। একটা লোককেও দেশ থেকে তাড়ানো চলবে না। নো এনআরসি। কোনও বিভাজন হবে না, নো ডিভাইড অ্যান্ড রুল।’’
অন্যদিকে, সংসদে সুর চড়ান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আজ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে থাকলে এই বিতর্ক শুনে লজ্জা পেতেন। অভিষেক তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংবিধান বিরোধী। এই বিল এনে দেশে বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। অসমে এনআরসি ব্যর্থ। তা সত্বেও পশ্চিমবঙ্গ-সহ বাকি রাজ্যগুলিতে এনআরসি লাগু করার চেষ্টা চলছে। আর সেই ভয়ে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছেন।' এক্ষেত্রে নোটবাতিলের পর বিভিন্ন জায়গায় লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন তিনি। এদিন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে 'ভারত বিরোধী ও বাংলা বিরোধী' বলে উল্লেখ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশ ধর্মশালা হোক সেটা আমরাও চাই না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা একসঙ্গে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে কেন?'
ছবি -ফাইল ছবি
" height='150' width='250' src="https://www.youtube.com/embed/y-uXZaqwMlw" width="853" height="480" data-framedata-border="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
ছবি -ফাইল ছবি