রাজধানীতে অশান্তি

Biswas Riya

সিএএ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ক্যাম্পাস ও তার সংলগ্ন এলাকায় কিন্তু মঙ্গলবার তা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব দিল্লি ও পুরনো দিল্লিতে। তবে পূর্ব দিল্লিতে হিংসা ঠেকাতে এগিয়ে এলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। আবার পুরনো দিল্লিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ থেকে যাতে হিংসা ছড়িয়ে না-পড়ে, তার জন্য আবেদন জানালেন জামা মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি। 

আজ দুপুরে পূর্ব দিল্লির সীলমপুরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মিছিল আটকালে অশান্তি শুরু হয়। হাজার হাজার মানুষ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বাস ভাঙচুর করা হয়। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। মারধরও করা হয় পুলিশকর্মীদের। হাঙ্গামার মধ্যে আটকে পড়ে স্কুলবাস। গোলমাল থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। লাঠি চালায়। পরিস্থিতি দেখে বন্ধ করা হয় ওই এলাকার তিনটি মেট্রো স্টেশন। ৪৫ মিনিট অশান্তির পরে রাস্তায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যস্থতা করেন তাঁরা। উত্তেজিত যুবকদের বুঝিয়ে শান্ত করে বাড়িতে ফেরত পাঠান। স্থানীয় মসজিদ থেকেও লাউডস্পিকারে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়।

আজ থমথমে পরিস্থিতি ছিল জামিয়া সংলগ্ন বাটলা হাউস, আবু ফজ়ল, জ়াকির নগর ও গফ্ফর মঞ্জিলে। বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকানপাটই। একই পরিস্থিতি ছিল পুরনো দিল্লি ও তার সংলগ্ন দরিয়াগঞ্জ, লাল কুঁয়া, কুরেশ নগরের মতো এলাকাতেও। এরই মধ্যে সিএএ-র প্রতিবাদে জামা মসজিদ থেকে মিছিল বার হয়। শাহি ইমাম মিছিলের উদ্দেশে বলেন, ‘‘প্রতিবাদ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কেউ আমাদের ঠেকাতে পারে না। কিন্তু আমরা যেন হিংসাত্মক কাজকর্মে না-জড়াই, সরকারি সম্পত্তি যেন ভাঙচুর না-করি, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে না-পড়ি।’’

জামিয়ার পর পূর্ব দিল্লিতে অশান্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, দিল্লি পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে আজ বৈঠক করেন। অমিত শাহ বলেন, ‘‘দু’-এক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। পুলিশকে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছি। ’’

 

 

 

Find Out More:

Related Articles: