ভারতে ধর্ষকদের বংশবিস্তার করা হয়, ফাঁসি দেওয়া হয় না: নির্ভয়া মা!
আজ শনিবার ভোর ৬ টায় নির্ভয়া মামলার চার অভিযুক্ত মুকেশ সিং, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুরের ফাঁসির দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। নির্ভয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারীদের ফাঁসি হওয়ার জন্য চূড়ান্ত তৎপরতা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। গোটা দেশ সেই অপেক্ষাতেই ছিল। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে ফাঁসি স্থগিতের নির্দেশ দিলেন দিল্লি আদালত। পরবর্তী নিদের্শ না আসা পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর হবে না।
একাধিকবার নির্ভয়া কাণ্ডের সময় সে নাবালক ছিল বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে ২৫ বছরের পবন গুপ্তা। প্রতিবারই তার দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গত ২০ জানুয়ারি পবনের স্পেশাল লিভ পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টও তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণার সময় এই বিষয়টি খারিজ করে দেয়।
এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর বনুমথি মামলার এই দিকটি নিয়ে আর শুনানিতে সম্মত হননি। এভাবে একই বিষয় নিয়ে বারবার আবেদন করা যায় না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল নির্ভয়ার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের অন্যতম পবন গুপ্তা। নির্ভয়ার ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে গণধর্ষণের সময় সে নাবালক ছিল বলে দাবি করেছে পবন।
এদিন ফাঁসির দিনক্ষণ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে জানান এক আইনজীবী এপি সিং। এক আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে নির্ভয়ার মা বলেন, “আমাকে এক আইনজীবী বলেছিলেন চারজন অভিযুক্তের কারোর ফাঁসির প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “আমি অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাসী নই, লড়াই চালিয়ে যাব।” নির্ভয়ার মা আশা দেবী দেশের আইনব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে বলেন, দেশের আইনে যদি ধর্ষনের জন্য ফাঁসির নিয়ম থাকে তবে ধর্ষণ কমবে। তিনি বলেন, “ভারতে ধর্ষকদের ফাঁসি দেওয়া হয় না, পালন করা হয়।”