করোনার জেরে বাতিল হতে পারে পুরোভোট

frame করোনার জেরে বাতিল হতে পারে পুরোভোট

Biswas Riya

করোনার আতঙ্ক গ্রাস করেছে পুরো বিশ্বকে। ভারতেও সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যদিও বিশ্বের অনান্য দেশের মত সেভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি, তবুও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কের জেরে পুরভোট পিছিয়ে যাওয়া প্রায় অবধারিত হয়ে উঠল। সংক্রমণ রুখতে যে কোনও ধরনের জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছিল প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

 বাংলার বিজেপি শনিবার থেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব কি না? রবিবার রাতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও বিবৃতি প্রকাশ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সুপারিশই করবে তারা। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসও জানাল, বিপদের আশঙ্কায় রাজ্য সরকার ভোট পিছনোর সিদ্ধান্ত নিলে তা সমর্থন করা হবে। এমনকি কমিশন পুরভোট পিছিয়ে দিলে বিরোধিতা করা হবে না বলে জানাল বামেরাও। অর্থাৎ আজ, সোমবারের সর্বদল বৈঠকে শাসক-বিরোধী এক সুরে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে চলেছে| কমিশনও সেই মতোই সায় দিতে পারে বলে রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

 

তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার সন্ধ্যায়ই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন| করোনা সঙ্কটের আবহে ভোট করা আদৌ উচিত কি না, তা নিয়ে তৃণমূলে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন| পার্থ প্রথমে জানান, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ যে এই পরিস্থিতিতে ভোট করানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা তিনি জানেন| তার পরে তিনি বলেন যে, বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়েছে| পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক নয়, অস্বাভাবিক, এমন মন্তব্যও করেন পার্থ| তখনই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল যে, ভোট পিছনোর আলোচনায় তৃণমূলের অবস্থান কোন দিকে ঝুঁকে| পার্থর এই সাংবাদিক সম্মেলনের কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিজেদের অবস্থান পুরোপুরি স্পষ্ট করে দেয় তৃণমূল| বিবৃতি প্রকাশ করে রাজ্যের শাসক দলের তরফে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদনই জানাবে তৃণমূল| বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘আমরা সকলেই করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।  ইতিমধ্যেই করোনাকে অতিমারী হিসাবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রাজ্য সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে। এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব যে, আসন্ন পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক।’

Find Out More:

Related Articles:

Unable to Load More