হাসপাতালগুলিকে নয়া নির্দেশিকা মুখ্যসচিবের
শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানালেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী-ই এই পরিসংখ্যান। শুক্রবার সকালেই করোনা মোকাবিলায় একাধিক অভিযোগ তুলে মুখ্যসচিবকে জোড়া চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় দল। আর এরপরেই সমস্ত হাসপাতালের সুপার ও msvp-দের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। মেডিক্যাল কলেজগুলোতে জারি হয়েছে নির্দেশিকা।
দেখে নেওয়া যাক কী কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়
*কোনও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। রেফারেলের ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীকে পাঠাতে হবে।
*মৃতদেহ সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং প্রটোকল মেনে তা করতে হবে যত শীঘ্র সম্ভব।
*সমস্ত ডাক্তারকে বাধ্যতামূলকভাবে পিপিই কিট পরতে হবে।
*ডাক্তাররা যে সমস্ত জায়গা ব্যবহার করবেন সেগুলো রেগুলার স্যানিটাইজ করতে হবে।
*স্যাম্পেল সংগ্রহ করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
*এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে
*স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের নিয়মিত মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভিজিট করতে হবে।
অন্যদিকে, ২১ দিন লকডাউনের পর ফের দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউন বেড়ে হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত। তবে এই ঘোষণার পরই করোনা মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দেশ জুড়ে ১৭০টি করোনা হটস্পট বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে এ রাজ্যে রয়েছে ৪টি জেলা। আবার নন হটস্পট ২০৭টি জেলাও চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। যার মধ্যে এ রাজ্যে রয়েছে ৮টি জেলা। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনাকেও ‘হটস্পট’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। আর নন হটস্পট জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা।