পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে ২ মাস খাদ্য : অর্থমন্ত্রী
বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। আর আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যকে জানিয়েছেন দেশের মধ্যে সবচেয়ে করোনা মৃত্যুর হার বাংলাতেই বেশি। ১৩.২ শতাংশ। বাংলায় আরও কিছুটা বাড়ল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৫৩। তবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে পরিযায়ী শ্রমিক, গরিব-নিম্নবিত্ত, কৃষক, ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও হকারদের জন্য পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরাহা দিতে রেশন কার্ড না থাকলেও বিনামূল্যে দু’মাসের জন্য খাদ্যসামগ্রীর বন্দোবস্ত করবে সরকার, ঘোষণা নির্মলা সীতারামনের। এ ছাড়া ফুটপাতের দোকানদার-হকারদের জন্য ১০ হাজার টাকার ঋণের বন্দোবস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী। রয়েছে কৃষকদের জন্যও প্যাকেজ।
অন্যদিকে, করোনা-পরিস্থিতিতে রাজ্যে পুরভোট আপাতত স্থগিত। বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ। কী করবে রাজ্য সরকার, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বুধবার একটি নির্দেশনামা জারি করে এই প্রশাসক বোর্ড গঠন করেছে। ৮ মে অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই এই নতুন বোর্ড কার্যভার গ্রহণ করেছে। রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশনামার ভিত্তিতে মেয়র এবং মেয়র পারিষদরা কর্মক্ষম থেকে গেলেও কাউন্সিলররা কিন্তু সকলেই এখন প্রাক্তন। যত দিন না পরবর্তী নির্বাচন হচ্ছে, তত দিন কলকাতা পুরসভার সব ওয়ার্ডই কাউন্সিলর-শূন্য অবস্থাতেই থাকতে চলেছে। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, কাউন্সিলরদের অকেজো করে দিতে চাইছে না দল। আপাতত লকডাউন এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধের কারণে নির্বাচন হল না ঠিকই, কিন্তু কয়েক মাস পরে নির্বাচনে যেতে হতে পারে।