আমফান! কেন্দ্রের বৈঠক, দরকারে আরও সহযোগিতার আশ্বাস রাজ্যকে

A G Bengali

গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামে। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সওয়া ১১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেন আমপান-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। দুই ২৪ পরগনার দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এ দিন কিন্তু অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন মোদী। তাঁকে নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার কপ্টার একটানা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক উড়েছে সুন্দরবন আর আবাদ অঞ্চলের আকাশে। পরে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকা এবং উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাট আকাশপথে ঘুরে দেখেছেন মোদী। বসিরহাট কলেজে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকও খুব সংক্ষিপ্ত ছিল না। একপাশে মুখ্যমন্ত্রী এবং আর এক পাশে রাজ্যপালকে নিয়ে মিনিট চল্লিশেক রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলেচনা সারেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে জানান যে, এই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য পশ্চিমবঙ্গকে আপাতত ১ হাজার কোটি টাকার ‘অগ্রিম সহায়তা’ দেওয়া হচ্ছে।

 

আমফান পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করল ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি। মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবার নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ, টেলি-যোগাযোগ, খাদ্য, জল-সহ একাধিক মন্ত্রকের আধিকারিকরা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অধিকর্তা। ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও। এদিন বৈঠকে সাহায্যের জন্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যসচিব। তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, দরকারে আরও সহযোগিতা করা হবে। শীঘ্রই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে পাঠানো আসবে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল।

Find Out More:

Related Articles: