রাজ্যে এক দিনে আক্রান্ত ৩৭১
আমফানের পরের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামে। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সওয়া ১১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেন আমপান-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। দুই ২৪ পরগনার দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এ দিন কিন্তু অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন মোদী। তাঁকে নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার কপ্টার একটানা প্রায় ঘণ্টা দেড়েক উড়েছে সুন্দরবন আর আবাদ অঞ্চলের আকাশে। পরে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকা এবং উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ, বসিরহাট আকাশপথে ঘুরে দেখেছেন মোদী। বসিরহাট কলেজে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকও খুব সংক্ষিপ্ত ছিল না। একপাশে মুখ্যমন্ত্রী এবং আর এক পাশে রাজ্যপালকে নিয়ে মিনিট চল্লিশেক রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলেচনা সারেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরে জানান যে, এই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য পশ্চিমবঙ্গকে আপাতত ১ হাজার কোটি টাকার ‘অগ্রিম সহায়তা’ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবার গত ২৭ মে থেকে ২৮ মে-র মধ্যে রাজ্যে এক দিনে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৪৪ জন। এখন পর্যন্ত এ রাজ্যে সেটাই ছিল এক দিনে আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা। রবিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭১ জন, যা আগের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেল। গত শনিবারই রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাঁচ হাজার। এ দিন স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে শুধু কলকাতাতেই সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট সংখ্যা এক হাজার ১৪ জন। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগটাই দক্ষিণবঙ্গের (২২২ জন)। এরা কলকাতা (৭২), হাওড়া(৪৭), উত্তর ২৪ পরগনা (৬০) এবং হুগলি (৪৩) জেলার বাসিন্দা।