আগামী ১০ এপ্রিল, শনিবার পাঁচ জেলায় ৪৪টি আসনে ভোট রয়েছে। তার আগে বুধবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ওই ভিডিয়ো বৈঠকেই তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ইভিএম নিয়ে গাফিলতি হলেই শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ১ হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। শনিবার ভোটে বুথে থাকবে মোট ৭৯৩ কোম্পানি বাহিনী। তার মধ্যে কলকাতা পুলিশ এলাকায় থাকবে ৯৪ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৯৬, কোচবিহারে ১৮৩, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে ৯৯, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় ৩৮, হাওড়া গ্রামীণে ৩৫ এবং বারুইপুর পুলিশ জেলায় ৪৪ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে থাকবে ৭৯ কোম্পানি। বাকি আধা সেনাকে ভোটের দিনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে।
অন্যদিকে, ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য পুলিসে রদবদল চলছে। বাদ যাননি ডিজি, এডিজি(আইনশৃঙ্খলা)-র মতো শীর্ষ পদাধিকারীরাও। বস্তুত, তৃতীয় দফায় ভোটে আগেও আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি, ডায়মন্ড হারবারের (শিল্পাঞ্চল) ডেপুটি পুলিস কমিশনার মিঠুন দে ও চন্দননগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার তথাগত বসুকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু জেলাশাসক পদে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন আয়েশা রানি। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের দফতরে। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে এসেছেন জয়সী দাশগুপ্ত। চুতর্থ দফার ভোটের আগে এবার দুই বর্ধমান ও দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলাশাসক বদল করল কমিশন। পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।