আগামী ১ জুন সকাল ৭টা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ‘লকডাউনের মতো বিধি নিষেধ’ জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিল উদ্ধব ঠাকরের সরকার। তবে লকডাউন চললেও প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে জরুরি পণ্যের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সরকার জানিয়েছে, ৫০ শতাংশ গণপরিবহণ চালু রাখা যাবে। তবে জরুরি ভিত্তিতেই সফর করা যাবে বাস, অটো, ট্যাক্সিতে। প্রয়োজনে যাত্রীকে প্রমাণ করতে হতে পারে সফরের কারণ। সেই সঙ্গে আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে তবেই রাজ্যে প্রবেশ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে দি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্য়াল রিসার্চের(ICMR) প্রধান ডাক্তার বলরাম ভার্গভ(Dr Balram Bhargava) বলেন, "দেশের ৭১৮টি জেলার চার ভাগের তিন ভাগ অংশেই করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি। যার মধ্য়ে রয়েছে নয়াদিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু। দেশের যে জেলাগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেই জেলাগুলিতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লকডাউন জারি রাখা প্রয়োজন। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নীচে নামলে তবেই লকডাউন তুলে দেওয়া যেতে পারে।" লকডাউনের কথা বলতে গিয়ে দিল্লির প্রসঙ্গ টানেন ডাক্তার বলরাম ভার্গভ(Dr Balram Bhargava)। তিনি জানান, একটা সময় দিল্লিতে সংক্রমণের হার ৩৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও এখন তা কমে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তাঁর মতে, "যদি এই মুহূর্তে দিল্লিতে লকডাউন তুলে দেওয়া হয়, তার ফলাফল হবে মারাত্মক।"