লকডাউনের মধ্যেই নারদা মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের ২ মন্ত্রী ও ২ প্রথম সারির নেতা। বিষয়টি নিয়ে টুইটারে যথারীতি বিস্ফোরক সায়নী ঘোষ। শাসকদলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট ভাগ করে নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘প্রধানমন্ত্রী শাসন জারি হয়নি তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা?’ তাঁর টুইট পোস্ট করার পাশাপাশি নেটমাধ্যমে তোপ দাগেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষও। নাম না করে বলেন, ‘হেরেও হুঁশ ফেরেনি! বাংলা দখল করার কী মরিয়া চেষ্টা। প্রধানমন্ত্রী শাসনের চেষ্টা করে ২১৩ ভোটের ধাক্কায় ধরাশায়ী। এ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিকল্পনা?’ তার পরেই হুঁশিয়ারি অভিনেত্রীর, ‘আমরাও দেখে নেব’। লকডাউনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই আচরণে বিস্মিত, আহত সমস্ত রাজ্যবাসী। প্রতিবাদে পথে নেমে পড়েন শাসকদলের বহু কর্মী-সমর্থক। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এর পরেই দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার অনুরোধ জানান অভিষেক।
প্রসঙ্গত, নারদাকাণ্ডে ফের তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার ২ হেভিওয়েট মন্ত্রী-সহ ৪ নেতা। ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। টানটান নাটকে অবশেষে যবনিকা পড়ল। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিল CBI-র বিশেষ আদালত। খারিজ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আবেদন। ২০১৬ সালে নারদা স্টিং অপারেশন ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। রাতারাতি খবর শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল।